রংপুর ব্যুরো:
রংপুর বিভাগের ৮ জেলার উপজেলাসমূহে ৩ হতে ৪টি বিড়ি কোম্পানী ছাড়া, অন্যান্য কোম্পানীগুলো সরকারি রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে ৮ হতে ১০ ও ১২ টাকা প্যাকেট মূল্যে বিড়ি বিক্রয় করছে। বিড়ি শিল্পে রাজস্ব ফাঁকির এ তৎপরতায় প্রতি মাসে সরকার রাজস্ব হারাচ্ছে শত কোটি টাকা। রাজস্ব ফাঁকি রোধে সময়ভিত্তিক উপায় বের করতে বিড়ি শিল্পের মালিক, মালিক নেতা ও বিড়ি শ্রমিক ইউনিয়ন নেতারা প্রস্তাব করেছেন-বিড়ি কোম্পানীর চাহিদা মত ব্যান্ডরোল সরবরাহ ও পোস্ট অফিস হতে ব্যান্ডরোল উঠানোর পরিবর্তে বিড়ির প্রধান উপকরণ কাগজ তৈরির পেপার মিলে প্রতি রীম কাগজ সরবরাহের বিপরীতে প্রদেয় ভ্যাট আরোপ করা এবং কাগজ সরবরাহে তদারকি ব্যবস্থা থাকলে, বিড়িতে জাল ব্যান্ডরোল এবং ব্যবহারি ব্যান্ডরোল লাগানোর প্রবণতা হ্রাস পাবে। আর এ ব্যবস্থায় শুধু বিড়ি শিল্প হতে রাজস্ব আয় বাড়বে বছরে কয়েক হাজার কোটি টাকা।
স্থানীয় কাস্টমস্-এর দেয়া তথ্য মতে, শুধু রংপুর অঞ্চলে নিবন্ধিত বিড়ি প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ২০৭টি। এর মধ্যে ৩-৪টি বিড়ি কোম্পানী ছাড়া, বাকীগুলো চলছে অনিয়ম ও রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে, ৮, ১০ ও ১২ টাকা প্যাকেট মূল্যে বিড়ি বিক্রয় করে। অথচ প্রতি প্যাকেট বিড়িতে ৯ টাকা ৬৪ পয়সার ব্যান্ডরোল ব্যবহার করা বাধ্যতামূলক। আর বিড়ি বিক্রির সরকার নির্ধারিত মূল্যে প্রতি প্যাকেট ১৮ টাকা। কমদামি বিড়ি উৎপাদন, জাল বা ব্যবহারি ব্যান্ডরোল লাগিয়ে বিড়ি ব্যবসা অব্যাহতভাবে চালাওে, এসব ব্যবসায়ীর অধিকাংশকে জবাবদিহিতা করার দৃশ্যমান কোন পদক্ষেপ নিতে দেখা যায় না। একজন পর্যবেক্ষকের মতে রাজস্ব আহরণকারি কর্তৃপক্ষের মাঠ পর্যায়ে কার্যকর তদারকি ও কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা ছাড়া বিড়ি মালিকদের রাজস্ব ফাঁকির এ তৎপরতা রোধ করা সম্ভব না।
বিড়ি শিল্প রংপুর অঞ্চলের একাধিক মালিক জানান দেশে দু’টি পেপার মিলে বিড়ি তৈরির কাগজ উৎপাদন করা হয়। এর ১টি বসুন্ধরা পেপার মিলস্ লি: অন্যটি আফিল পেপার মিলস্ লি:। এই মিল হতে চাহিদা মত কাগজের বিপরীতে ব্যান্ডরোল উত্তোলন পরবর্তীতে বিড়ি তৈরির কাগজ সরবরাহ করা হলে, ব্যান্ডরোল বিহীন বা জাল ব্যান্ডরোল ব্যবহার করার এবং ৮, ১০ ও ১২ টাকা প্যাকেটমূল্যে বিড়ি বিক্রি করার সুযোগ থাকবে না। ঘুষ, দুর্নীতিও হ্রাস পাবে। আর রাজস্ব আদায় হবে ষোল আনা। এতে বিড়িতে কর বাড়ানো ছাড়াই দেশের বিড়ি শিল্প হতে রাজস্ব আহরণ বৃদ্ধি পাবে কয়েক হাজার কোটি টাকা।