জব্দকৃত মালামালের বিবরণ-
১. ২৭২ বস্তা আটা, প্রতি বস্তায় ৪০ কেজি করে মোট ওজন (৪০দ্ধ২৭২)= ১০,৮৮০ কেজি এবং
২. ৬৫ বস্তা আটা, প্রতি বস্তায় ২০ টি প্যাকেট মোট প্যাকেট (৬৫দ্ধ২০)= ১,৩০০ প্যাকেট টি, প্রতিটি প্যাকেটের ওজন ২ কেজি করে মোট ওজন (১৩০০দ্ধ২)= ২,৬০০ কেজি। সর্বমোট ওজন (১০,৮৮০+ ২,৬০০) = ১৩,৪৮০ কেজি, মূল্য অনুমান- ৫,৫০,০০০/- টাকা।
এরপর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এর উপস্থিতিতে গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি) কর্তৃক আটককৃত মেয়াদোত্তীর্ণ আটার বস্তাগুলো জব্দ করেন রংপুরের স্যানেটারী ও নিরাপদ খাদ্য ইন্সপেক্টর এবং পরবর্তীতে তিনি বাদী হয়ে জব্দকৃত আলামত এবং আটককৃত আসামীসহ কোতয়ালী থানায় হাজির হয়ে নিরাপদ খাদ্য আইন ২০১৩ এর ২৯ ও ৩২(ক),৩২(ঘ) ধারায় আসামী ১) রাশেদ মিয়া(৩৪), পিতা- মৃত আনছার আলী, মাতা- নুর বানু,সাং- পার্বতীপুর, মেহগনি গাছবাগান, ওয়ার্ড-১৭ এবং ২) জিয়াউর রহমান (৪২), পিতা- মৃত আঃ হামিদ, মাতা- মৃত সুফিয়া খাতুন, সাং- পার্বতীপুর, ৩ নং চেক পোস্ট এর পার্শ্বে, এ/পি সাং- ভগিবালাপাড়া রফিক সাহেবের বাসার ভাড়াটিয়া, উভয় থানা- কোতয়ালী, রংপুর মহানগর, রংপুরদ্বয়ের বিরুদ্ধে কোতয়ালী থানায় মামলার এজাহার দায়ের করেন।
প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়, জব্দকৃত আটাগুলো পুনঃ প্যাকেটজাত করে নওগাঁসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বাজারজাতকরণ, পুনঃ ব্যবহার, বিভিন্ন হোটেল ও রেস্তোরাঁয় সরবরাহ ও খাদ্য হিসেবে ব্যবহারের নিমিত্তে ট্রাকে করে পাঠানো হচ্ছিল। মেয়াদোত্তীর্ণ আটা জীবন ও স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। মেয়াদোত্তীর্ণ খাদ্য বিষের মতো শরীর ও স্বাস্থ্যের চরম ক্ষতি করে। মেয়াদোত্তীর্ণ আটা মজুদ, পরিবহন, ক্রয়-বিক্রয় ও অবৈধভাবে ব্যবহারের সাথে জড়িত সকলকে তদন্তের মাধ্যমে বের করে এনে আইনের আওতায় আনা হবে।
উল্লেখ্য যে, নিরাপদ ও টেকসই খাদ্য নিশ্চিতকরণে সংশ্লিষ্ট অন্যান্য কর্তৃপক্ষের সাথে সমন্বয় করে সকল ধরণের অপরাধ, ভেজাল ও মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য ক্রয়-বিক্রয় বন্ধসহ অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা বিঘ্নকারী অপরাধ রোধে গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)’র অভিযান অব্যাহত থাকবে।