1. admin@surjodoy.com : Main : Admin Main
  2. dainiksurjodoy24@gmail.com : admin2020 : TOWHID AHAMMED REZA
  3. editor@surjodoy.com : Daily Surjodoy : Daily Surjodoy
বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তার নাম-সিল ব্যবহার করে জালিয়াতির দায়ে আনিসুর রহমান’কে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-৪
রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:০১ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় বাস চাপায় প্রাণ গেল ২ মোটরসাইকেল আরোহীর রাজশাহীতে মিথ্যা চাঁদাবাজির অভিযোগ, প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন নড়াইল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির নিন্ম আদালতে আত্মসমর্পণ জামিন নামঞ্জুর জেল হাজতে প্রেরন ফুলবাড়িতে যথাযথ মর্যাদায় সশস্ত্রবাহিনী দিবস উদযাপিত বাসে উঠাকে কেন্দ্র করে ঢাকা কলেজ ও সিটি কলেজ ছাত্রদের সংঘর্ষে রণক্ষেত্র সাইন্সল্যাব এলাকা আইজিপি হিসেবে নিয়োগ পেলেন বাহারুল আলম পুঠিয়ায় সাথী ক্লিনিককে ১০ হাজার জরিমানা, সাংবাদিকের হুমকি নড়াইলে মদ্যপানে ১স্কুল ছাত্রীর মৃত্যু,আরও ১ জন হাসপাতালে ভর্তি রাজশাহীতে গোপনে মৃত ব্যাক্তির জমি বিক্রয়ের অভিযোগ নিয়োগে বৈধতা না থাকলেও,জাহিনুর বেগমের দাবী তিনি প্রধান শিক্ষক 

বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তার নাম-সিল ব্যবহার করে জালিয়াতির দায়ে আনিসুর রহমান’কে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-৪

  • আপডেট টাইম : শনিবার, ৩০ অক্টোবর, ২০২১, ৫.৫৪ পিএম
  • ২২৬ বার পঠিত

বিশেষ পতিনিধি, মিরপুর থেকে- আলতাফ হোসেন : এলিট ফোর্স হিসেবে র‌্যাব আত্মপ্রকাশের সূচনালগ্ন থেকেই আইনের শাসন সমুন্নত রেখে দেশের সকল নাগরিকের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার লক্ষে অপরাধ চিহ্নিতকরণ, প্রতিরোধ, শান্তি ও জনশৃংখলা রক্ষায় কাজ করে আসছে। সাম্প্রতিককালে প্রতারণামূলক ফাঁদে ফেলে উচ্চ বেতনে লোভনীয় চাকুরীর প্রলোভনে নারী পাচারে জড়িত রয়েছে কয়েকটি সংঘবদ্ধ সিন্ডিকেট। জঙ্গীবাদ, খুন, ধর্ষণ, নাশকতা এবং অন্যান্য অপরাধের পাশাপাশি এসব ঘৃণিত মানবপাচারকারী চক্রের সাথে সম্পৃক্ত অপরাধীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য র‌্যাব সদা সচেষ্ট।

এরই ধারাবাহিকতায় র‌্যাব-৪ এর একটি আভিযানিক দল গতকাল ২৯ অক্টোবর ২০২১ তারিখ ১০.৩০ ঘটিকায় রাজধানী ঢাকার পল্লবী থানাধীন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ০১ টি ব্ল্যাংক নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্প, জমির চুক্তিপত্র, চেক বহি, এটিএম কার্ড, ভুয়া সমবায় সমিতি কার্ড, ভুয়া ট্রেড লাইসেন্স, বিভিন্ন ভুয়া সীলসহ সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে জালিয়াতি করার অপরাধে আনিসুর রহমান (৩৯), জেলা-বরিশাল’কে গ্রেফতার করা হয়।

প্রাথমিক জিঙ্গাসাবাদে জানা যায় মোহাম্মদ আনিসুর রহমান (৩৯), ১৯৯১ সালে ঢাকায় আসে। সে সংস্থাপন মন্ত্রণালয়ে পিয়ন পদে চাকুরীরত জনৈক মৃত আব্দুল মান্নান সরদারের কাছে আশ্রয় নেয়। পরবর্তীতে তার সহায়তায় সে ঢাকার একটি কলেজের তৎকালীন প্রিন্সিপালের বাসায় গৃহকর্মে নিয়োজিত ছিল। সে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত লেখাপড়া করেছে। ১৯৯১ সাল থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত ১০ বছর সে উক্ত বাসায় থাকার পর চট্টগ্রাম টু ঢাকা একটি শীপে কিছুদিন কাজ করে। এরপর আনিসুর রহমান ২০০৪ সালের দিকে একটি বেসরকারী গ্রুপে মোটরপার্টস সাপ্লাইয়ের কাজ শুরু করে। আনিস ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কশপ নাম ব্যাবহার করে কাজ চালালেও প্রকৃতপক্ষে তার কোন ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কশপ বা অন্য কোনো প্রতিষ্ঠান ছিল না। সে ধোলাইখাল থেকে বিভিন্ন যন্ত্রাংশ খুঁজে জোড়া দিয়ে যন্ত্রপাতি তৈরি করে ঐ গ্রুপে সাপ্লাই দিত। তার নিজস্ব কোন মেরামত কারখানাও ছিল না। অভিযান পরিচালনাকালে তার হেফাজত থেকে প্রতারনাকাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন সীল পাওয়া যায়। সিএনজি কনভার্শন ওয়ার্কশপের অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার, ম্যানেজার, স্টোর ম্যানেজার, ইত্যাদি সীল পাওয়া যায়। প্রতারণামূলকভাবে অর্থ আত্মসাতের জন্য সে এই সীল ব্যবহার করতো। বর্তমানে সে কালশীতে ভুঁইয়া রেস্তোরাঁ নামে একটি হোটেল পরিচালনা করে এবং এর মালিক বলে প্রচার করে কিন্তু অভিযোগ আছে অন্য একজনের জমি জোড়পূর্বক দখল করে সে এই রেস্টুরেন্ট চালু করেছে। এছাড়াও সে জমিজমা কেনাবেচা ও বিশেষ করে মামলা সংক্রান্ত জমিজমার দলিল পত্রাদি তৈরী করে দেয়ার নামে অর্থ আত্মসাৎ করে সহজ সরল লোকদের ঠকিয়ে আসছিল। প্রতারণার কাজে সে বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও কর্মকর্তার নাম ব্যবহৃত সিল নিজে বানিয়ে অবৈধভাবে ব্যবহার করতো। সে প্রতারণামূলকভাবে কয়েকটি নামসর্বস্ব প্রতিষ্ঠান এর মালিক বলে পরিচয় দেয়। তারমধ্যে আনিস এন্টারপ্রাইজ ফ্যাশন টেইলার্স এন্ড ফেব্রিক্স, ভূইয়া রেস্তোরা, ভুইয়া বাজার, মাহিন এন্টারপ্রাইজ, বুশরা হারবাল সেন্টার ইত্যাদি নাম পাওয়া যায়। এরমধ্যে মিরপুর কালশীতে ভূঁইয়া রেস্তোরাটি অন্যের জমি দখল করে প্রতিষ্ঠা করার অভিযোগ রয়েছে এবং বাকি প্রতিষ্ঠানগুলোর কোন অস্তিত্ব নেই। সম্প্রতি সে উমরান মাকসাদ সমবায় সমিতি নামে কয়েকশো বই ছাপায় যা অভিযান পরিচালনা করা কালে উদ্ধার করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে সে স্বীকার করে উমরান মাকসাদ সমবায় সমিতি নামক কোন সমিতি গঠনের অনুমতি সে গ্রহণ করেনি এবং সমিতির কোন কমিটি গঠন সদস্য সংগ্রহ ইত্যাদি কোন কিছুই সে করেনি । সম্পূর্ন অবৈধভাবে সে উক্ত নামক সমিতির বই ছাপিয়েছে। আনিস একজন অতি চতুর ও ধুরন্ধর প্রকৃতির লোক। সে নানা কৌশলে সহজ প্রতারনামূলকভাবে অর্থ আত্মসাৎ করে সহজ সরল মানুষকে বেশ কিছুদিন ধরে ঠকিয়ে আসছিল। গাজীপুরে তার ১৭ শতাংশ জমি আছে এবং মিরপুরে তার একটি ফ্ল্যাট আছে বলে জানা যায়।

গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..

Comments are closed.

© All rights reserved  2020 Daily Surjodoy
Theme Customized BY CreativeNews