স্টাফ রিপোটার : শাহ জালাল (রঃ) আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর গোল চত্তরে অবস্থিত বিমান বন্দর গোল চত্তর জামে মসজিদ ও বাবুস সালাম মাদরাসার দীর্ঘ ২০ বছরের আয় ব্যায়ে কোটি কোটি টাকা আত্বসাতের অভিযোগ প্রতিষ্ঠাতা মোতাওয়াল্লী ও শিক্ষক মাওলানা আনিসুর রহমানের বিরুদ্ধে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ১৯৯৯ সাল থেকে বেতন ভূক্ত শিক্ষক মাওলানা আনিসুর রহমান ও প্রতিষ্ঠাতা মোতাওয়াল্লী সৈয়দ মুশÍাক হোসেন রতন এককভাবে মাদরাসা পরিচালনা করে আসছিলো, যেখানে কোন দায়বদ্ধতা ছিলো না। ২০১৭ সালে দায়বদ্ধতার বিষয় জনসম্মূখে আসলে কোটি কোটি টাকা আত্বসাতের ঘটনা ফাঁস হয়ে যায়।
৭ কোটি টাকা আত্বসাতের অভিযোগে মোতাওয়াল্লীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন তার বেতন ভূক্ত শিক্ষক মাওলানা আনিসুর রহমান। দরিদ্র পরিবারের ছেলে আনিসের জমি ক্রয় ও দান খয়রাতের কোটি টাকার হিসাব মেলাতে না পারায় মোতাওয়াল্লী মুশÍাক হোসেন রতন কর্তৃক মাওলানা আনিসুর রহমানকে জবাবদিহির জন্য সময় বেধে দিলে শুরু হয় দুই পক্ষের শক্তির মহড়া। মাওলানা আনিসের কাছে মামলা ও হামলায় পর্যুদস্ত হয়ে মানসিক ভারসাম্যহীন রতন। মাদরাসা কমপ্লেক্স মার্কেটের ব্যাবসায়ীদেও ভাড়ার নামে চাঁদাবাজী ও দোকান দখলের অভিযোগে দায়েরকৃত মামলায় দিকহারা মাওলানা আনিস। মাদরাসাটিতে ত্রিমূখি লড়াইয়ে বিপাকে সাধারন ছাত্র ও শিক্ষকরা। মাদরাসা কম্পেলেক্স মার্কেটে প্রায় ১০ লক্ষ টাকা ভাড়ার পরিবর্তে এখন মাত্র ২ লক্ষ টাকা ভাড়া আদায় হয়। যে টাকা ৫ শতাধিক ছাত্রদের দৈনন্দিন খরচ মেটানো কষ্টকর হয়ে পরে।, শিক্ষদের বেতন, বিদ্যুত ও গ্যাস বিলসহ অন্যান্য খরচ মেটানোর অবস্থানে নেই প্রতিষ্ঠানটি। প্রতিষ্ঠানটির বর্তমান পরিচালক দাবিদার মাওলাান আনিস ও কাউন্সিলর নাঈম গংদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, হামলা, দখল ও চাঁদাবাজীর অভিযোগে প্রায় ১৬ টি মামলা বিচারাধীন আছে।। ইতোমধ্যে উক্ত মামলাগুলোর ১০ টি মামলার চার্জশীট ( অভিযোগের স্বপক্ষে ) তদন্তকারি অফিসার ( পি আইবি, স্থানীয় থানা, ডিবি, সিআইডি ) আদালতে দাখিল করেছেন। বাদি বিবাদি সব মিলিয়ে মাওলানা আনিসকে মাসে প্রায় অর্ধশতাধিক মামলার হাজিরা দিতে হচ্ছে। এর মধ্যে মার্কেটের দোকানদারদের সাথে দন্ধে জড়িয়ে প্রতিনিয়ত ডিসি অফিস, থানা এবং সরকারি অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে অভিযোগ ও পাল্টা অভিযোগ দায়ের হচ্ছে। মাদরাসার কম্পেলেক্স মার্কেট এর ২য় ও ৩য় তলার ব্যবসায়ী নাজমুল আজম ভূইয়াকে তার এয়াপোর্ট রেস্তোরা (দোকান নং ১৯) ও দাওয়াত রেষ্ট হাউজ ( দোকান নং ২০ ) থেকে জোড়পূর্বক বেড় করে বেধরক প্রহার, দখল, ভাংচুর ও মালামাল লুট করে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে।। ভূক্তভোগীর অভিযোগ সূত্রে আরো জানা যায়, গত ০৫/ ০১/ ২০২১ তারিখ মঙ্গলবার গভীর রাতে স্থানীয় কাউন্সিলর আনিসুর রহমান নাঈম ও অত্র মাদরাসার মুহতামিম মাওলানা আনিসুর রহমান আদালতের নিষেধাজ্ঞা ভঙ্গ করে মার্কেটের দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলার ২টি দোকান এয়াপোর্ট রেস্তোরা ও দাওয়াত রেষ্ট হাউজ জোড়পূর্বক দখল, ভাংচুর ও মালামাল লুট করে নিয়ে যান। বিমান বন্দর জামে মসজিদ ও বাবুস সালাম মাদরাসার ওয়াক্ফ এস্টেট মার্কেটের দোকান নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে বিজ্ঞ আদালতে মামলা চলমান রয়েছে। যে মামলায় বিজ্ঞ আদালত নাজমুল আজম ভূইয়ার ২টি দোকানের দখল ঠিক রাখতে ১৪৫ ধারা জারি করেন, যা এখনো বলবৎ রয়েছে। এ বিষয়ে ভূক্তভোগী নাজমূল আজম ভূইয়া বিমান বন্দর থানা ও উত্তরা ডিসি অফিসসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সরকারি অফিসে অভিযোগপত্র দাখিল করেন, কিন্তু অধ্যবধি উক্ত অভিযোগের মামলা ( এফ আই আর) না নেওয়ায় বিমান বন্দর থানার ওসির বিরুদ্ধে উঠেছে। এ বিষয়ে মাওলানা আনিসের সাথে যোগাযোগ করা হলে, তিনি প্রতিবেদককে ২০ বছরের ইতিহাস টেনে বাবুস সালাম মাদরাসার ওয়াক্ফ এস্টেট মার্কেটের সকল দোকানদারদেরকে অবৈধ আখ্যায়িত করেন। দোকানদাররা ঠিক মতো ভাড়া আদায় করেন না বলে অভিযোগ করেন। এ বিষয়ে মার্কেটের বিভিন্ন দোকানদারদের সাথে যোগাযোগ করলে তারা প্রতিবেদককে বলেন, মাওলানা আনিস আমাদের থেকে ভাড়া জোড় পূর্বক আদায় করছেন, আবার মোতাওয়াল্লী মোস্তাক হোসেন রতনও ভাড়া দাবি করেন, কিন্তু ওয়াক্ফ এস্টেট আমাদের কাছে যথারিতি ভাড়ার জন্য চিঠি পাঠান, আমরা কাকে ভাড়া দিবো। মাওলানা আনিস এখানে একজন বেতন ভূক্ত কর্মচারি, উনি ভাড়া নেওয়ার কে। এ বিষয়ে ব্যবসায়ীরা আরো বলেন, হাইকোর্টের আদেশ অনুযায়ী ওয়াক্ফ এস্টেট উক্ত মার্কেট পরিচালনা ও ভাড়া উত্তোলনের একমাত্র দায়িত্ত প্রাপ্ত কর্তৃপক্ষ, তাই আমরা অন্য কাউকে ভাড়া দেওয়া আদালত অবমাননার শামিল। কাউকে ভাড়া দিলে তা ওয়াক্ফ এস্টেট কর্তৃপক্ষ মেনে নিবে না, আর তা উচ্ছেদ যোগ্য অপরাধ বলে ইতোপূর্বে চিঠিতে আমাদেরকে জানিয়ে দিয়েছে। আরো জানা গেছে যে, উক্ত অভিযোগের প্রতিকারে ও অভিযুক্তদের বিচারের দাবিতে অত্র মার্কেটের ব্যবসায়ীরা ইতোপূর্বে একাধিক মানব বন্ধন ও প্রেস কনফারেন্স করেন। যা বিভিন্ন জাতীয় গণমাধ্যমে ব্যপকভাবে প্রচারিত হয়েছিলো।