২০১৬ সাল থেকে বোর্ডের সঙ্গে পাঁচ বছরের চুক্তি ছিল জোহরি। চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ২০২১ সালে। তবে চুক্তি শেষ হওয়ার এক বছর আগে নিজ থেকেই সরে দাঁড়ালেন জোহরি।
সৌরভ বোর্ডের দায়িত্ব নেয়ার পর জোহরির প্রধান নির্বাহীর পদটি বাতিলের সিদ্ধান্ত হয়েছিল। কেননা সৌরভের নেতৃত্বাধীন কমিটি চেয়েছিলেন বোর্ডকে আবার আগের মতো করে চালাতে। যেখানে বোর্ড চেয়ারম্যান সৌরভ গাঙ্গুলি এবং সেক্রেটারি জয় শাহই থাকবেন বোর্ডের সকল ক্ষমতার শীর্ষে।
আর এরপর থেকে যেকোনো সভায় এই দুইজনই প্রতিনিধিত্ব করতে থাকেন। আর তাই পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন জোহরি।
ডিসেম্বরে সিদ্ধান্ত নিলেও কথা ছিল এপ্রিল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করবেন তিনি। এরপরই পদত্যাগ। তবে সেটির পরেও পদত্যাগ না করায় একটা অনিশ্চিত অবস্থার সৃষ্টি হয়েছিল। সৌরভের সঙ্গে নতুন কোনো চুক্তিতে গেলেন কিনা জোহরি, এমন কানাঘুষাও চলছিল। তবে সেসব গুঞ্জণ মিথ্যে করে এপ্রিলের পর আরো দুই মাস দায়িত্ব পালন শেষে জোহরির পদত্যাগের ঘোষণা এলো।
আগামী মাস থেকে তিনি আর বোর্ডের দায়িত্বে থাকছেন না। গত নভেম্বরে প্রধান অর্থ বিষয়ক অফিসার সান্তোষ রাংনেকারের পর দ্বিতীয় কর্মকর্তা হিসেবে পদত্যাগ করলেন রাহুল জোহরি।