বিয়ের শর্তে ধর্ষকের জামিন নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এমন শর্তে কয়েকজনের জামিন হওয়ার পর হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ এ নিয়ে প্রশ্ন তুললেন। গত ৫ বছরে ২৬ হাজার ৬৯৫টি ধর্ষণের মামলা হয়েছে বলে উচ্চ আদালতে রিপোর্ট দিয়েছে পুলিশ সদর দফতর।
গত বছরের নভেম্বরে ফেনী জেলা কারাগারে ধর্ষণ মামলার আসামির সঙ্গে বিয়ে হয় ভুক্তভোগীর। একই দিন নাটোর আদালত চত্বরে আসামির সঙ্গে আরেকটি বিয়ে অনুষ্ঠিত হয়। বিয়ের পরই আসামির জামিন মঞ্জুর হয়। এ ছাড়া রাজশাহী, লালমনিরহাটসহ দেশের কয়েকটি জেলায় এমন বিয়ের ঘটনা ঘটেছে। তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রে ধর্ষণের শিকার নারীর সম্মতি ছিল।
ভারতের সুপ্রিম কোর্টের মতো বাংলাদেশের উচ্চ আদালতেও বিয়ের শর্তে ধর্ষককে জামিন দিতে দেখা যাচ্ছে। মানবাধিকার সংস্থাগুলো এমন বিয়ের বিরোধিতা করে আসছেন। এবার এ বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ।
আইন ও সালিশ কেন্দ্র আইনজীবী ব্যারিস্টার অনিক আর হক বলেন, সালিশের মাধ্যমে ধর্ষকের সঙ্গে ধর্ষণের শিকার নারীর বিয়ে বেআইনি। কারণ ধর্ষণ একটি অপরাধ, এই অপরাধের আইনগত বিচার করতে হবে এবং বিচার করার অধিকার রাখেন শুধু আদালত।
১৮০ দিনের মধ্যে ধর্ষণ মামলা নিষ্পত্তির বিধান রয়েছে। কিন্তু এ সময়ে মধ্যে মামলা নিষ্পত্তির নজির হাতে গোনা। যাদের তদারকির দায়িত্ব তারাও উদাসীন। বুধবার (৩ মার্চ) হাইকোর্টে দাখিল করা পুলিশ সদর দফতরের রিপোর্টে দেখা যায়- গত ৫ বছরে ২৬ হাজার ৬৯৫টি ধর্ষণের মামলা হয়েছে।
এদিকে দেরিতে হলেও আইনে বেঁধে দেয়া সময়ের মধ্যে ধর্ষণের মামলার বিচার শেষ হচ্ছে কিনা তা পর্যবেক্ষণে তিন সদস্যের উচ্চপর্যায়ের কমিটি গঠন করেছেন সুপ্রিম কোর্ট।