1. admin@surjodoy.com : Main : Admin Main
  2. dainiksurjodoy24@gmail.com : admin2020 : TOWHID AHAMMED REZA
  3. editor@surjodoy.com : Daily Surjodoy : Daily Surjodoy
বেনাপোল চেকপোস্ট নো-ম্যান্সল্যান্ডে এবার বসছে  না দু’বাংলার ভাষা প্রেমী মানুষের মিলনমেলা
মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫, ০২:০৩ পূর্বাহ্ন

বেনাপোল চেকপোস্ট নো-ম্যান্সল্যান্ডে এবার বসছে  না দু’বাংলার ভাষা প্রেমী মানুষের মিলনমেলা

  • আপডেট টাইম : বুধবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২১, ১২.৪১ এএম
  • ২৭৫ বার পঠিত
রফিকুল ইসলাম বেনাপোল প্রতিনিধিঃ
একুশে ফেব্রæয়ারী আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে প্রতিবারই যশোরের বেনাপোল চেকপোস্ট নো-ম্যান্সল্যান্ডে বসে দু’বাংলার ভাষাপ্রেমী মানুষের মিলন মেলা। বুকে কালো ব্যাজ, মুখে ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রæয়ারি…।’ নানা রং এর ফেস্টুন, ব্যানার, প্লে­কার্ড, ফুলে-ফুলে ভরে ওঠে নো-ম্যান্সল্যান্ড। তখন দুই দেশের সীমান্তের মধ্যবর্তী ওই স্থানে আবেগাপ্লুত পরিবেশের সৃষ্টি হয়। একে অপরকে আলিঙ্গণ করে সকল ভেদাভেদ ভুলে যান কিছু সময়ের জন্য। ফুলের মালা দিয়ে উভয় দেশের আবেগপ্রবণ অনেক মানুষ বাঙালীর নাড়ির টানে একজন অপরজনকে জড়িয়ে ধরে হাউমাউ করে কেঁদে ফেলেন।
ভৌগোলিক সীমারেখা ভুলে কেবল মাত্র ভাষার টানে সীমান্তের কাঁটাতারের বেড়া উপেক্ষা করে দলে দলে যোগ দেন একুশের মিলন মেলায়। ভারত-বাংলাদেশের বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন অংশ নেয় এ অনুষ্ঠানে। এ সময় পেট্রাপোল ও বেনাপোল চেকপোস্টে ঢল নামে হাজার হাজার মানুষের। ক্ষণিকের জন্য হলেও আন্তর্জাতিক সীমান্ত রেখায় ছেদ পড়ে।
২১ ফেব্রæয়ারিকে কেন্দ্র করে বেনাপোল নো-মান্সল্যান্ড এলাকা সাজে নানা রংয়ের বর্ণিল সাজে। নো-ম্যান্সল্যান্ড এলাকায় নির্মাণ করা হয় অস্থায়ী শহীদ মিনার। সকাল থেকে দুই দেশের হাজার হাজার মানুষ পুস্পার্ঘ্য অর্পণ করেন শহীদ বেদীতে। আবেগ আর ভালোবাসায় ভাষা প্রেমীরা ভূলে যায় তাদের সীমান্ত রেখা।
কিন্তু এবারের ২১ ফেব্রæয়ারি মাতৃভাষা দিবসে বেনাপোলে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে এই দৃশ্য আর দেখা যাবে না। এতোদিন দুই দেশের সরকারি প্রতিনিধি ও মন্ত্রীরা প্রতিবেশী দেশে গিয়ে শহীদবেদিতে পুস্পস্তবক দিতেন। এবার যৌথ ভাবে একুশের কোন অনুষ্ঠান নো-ম্যান্সল্যান্ডে হবে না করোনার কারণে। তবে ওপারে ছোট করে একটা অনুষ্ঠান হবে সেখানে স্থানীয় সাংসদসহ বাংলাদেশের ১০০ জনকে তারা আমন্ত্রণ করেছেন। উভয় দেশেরে প্রশাসনও রাজি নয় করোনার মধ্যে এ অনুষ্ঠান করতে।
এ ব্যাপারে দুই বাংলার একুশ উদযাপন কমিটির বেনাপোলের আহবায়ক উপজেলা চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম মঞ্জু বলেন, ‘করোনার কারণে সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়টি মাথায় রেখে উভয় দেশের আয়োজকরা আলোচনা করে এবার বেনাপোলের নো-ম্যান্সল্যান্ডে একুশের মিলন মেলা হচ্ছে না। তবে পেট্রাপোলে ছোট একটি অনুষ্ঠান হবে। সেখানে বাংলাদেশের কয়েকজনকে তারা আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। করোনা পরিস্থিতি উন্নতি হলে আগামী বছর থেকে পুনরায় অনুষ্ঠান করা হবে।’

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

© All rights reserved  2020 Daily Surjodoy
Theme Customized BY CreativeNews