গতকাল ১০/০৯/২০২১খ্রি. সময় ০২:৩০ ঘটিকায় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের দশম ব্যাচের শিক্ষার্থী শাহরিয়ার সিদ্দিক পরাগ (২৩), পিতা: আব্দুল কুদ্দুস, থানা: নাগেশ্বরী,
জেলা: কুড়িগ্রাম পার্কের মোড়ের পার্কভিউ ছাত্রাবাস হতে সর্দারপাড়ায় তার বন্ধুর ছাত্রাবাসে যাবার পথে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১নং গেটের পূর্বপাশে মডার্ন মোড়ের দিক হতে আসা ২০/২৪ বছর বয়সী ৩ জন ছিনতাইকারী তার গতিরোধ করে মোবাইল সেট ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে এবং এক পর্যায়ে না পেরে চাপাতি দিয়ে আঘাত করে মোবাইল ফোন ছিনতাই করে। পরবর্তীতে পুলিশের সহায়তায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করে। বর্তমানে সে পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে।
উল্লেখিত ঘটনায় তাজহাট থানার মামলা নং-৪, তারিখ-১০/০৯/২০২১খ্রি., ধারা- আইন শৃঙ্খলা বিঘ্নকারী অপরাধ (দ্রুত বিচার) আইন,২০০২ (সংশোধন ২০১৯ )এর ৪/৫ রুজু হয়। অপরদিকে জনাব মনিরুজ্জামান (৪০), সহকারী অধ্যাপক (ইতিহাস ও প্রত্বতত্ত¡ বিভাগ), বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়,
ভোর ০৫.৩০ ঘটিকার দিকে শরীর চর্চার উদ্দেশ্যে লালবাগ হতে পার্কের মোড়ের দিকে যাওয়ার সময় কলেজিয়েট স্কুল এন্ড কলেজ ও বীজ ভবনের মাঝামাঝি স্থানে পৌছালে দুইজন ছিনতাইকারী হঠাৎ করে তাঁর গতিরোধ করে এবং চাপাতি দিয়ে এলোপাথাড়ি আঘাত করে মোবাইল সেট এবং তাঁর পকেটে থাকা টাকা (অনুমান তিন হাজার) ছিনতাই করে পালিয়ে যায়।
এই সংক্রান্তে তাজহাট থানার মামলা নং-০৫, তারিখ-১০/০৯/২০২১ ইং, ধারা- আইন শৃঙ্খলা বিঘ্নকারী অপরাধ (দ্রুত বিচার), আইনে,২০০২ (সংশোধন ২০১৯) এর ৪/৫ রুজু হয়। উভয় ঘটনায় জড়িত ছিনতাইকারী এবং বর্ণীত মামলা দুটির মূল আসামী রিফাত হোসেন @আলফি-কে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে গতকাল ১০/৯/২০২১ তারিখ ১৭:০০ ঘটিকায় গ্রেফতার করা হয়।
পরবর্তীতে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে সে ঘটনার সাথে সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে এবং তার দেখানো মতে তার বাড়ি থেকে ছিনতাইকৃত দুটি মোবাইল সেট, ছিনতাইকৃত টাকার মধ্যে তার ভাগের অংশ ৭০০টাকা এবং ছিনতাইয়ের সময় ব্যবহৃত ০১ টি চাপাতি উদ্ধার করা হয়েছে।
এই এই ঘটনায় তার সাথে আরো দুজন ছিনতাইকারী অংশগ্রহণ করেছিল। তাদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে অভিযান চলছে।