লন্ডন থেকে জমির উদ্দিন সুমন :
ব্রিটেনে অবৈধভাবে প্রবেশ করতে সবসময়ই সুযোগের অপেক্ষায়
থাকেন অনেক অভিবাসীরা। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিয়ে প্রতিদিনই বিপুল সংখ্যক
অভিবাসী ব্রিটেনমুখী। করোনা ভাইরাসে বিপর্যস্ত ব্রিটেনে অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে মানবপাচার।
ফ্রান্সের কালাইস সীমান্তে এভাবেই রাস্তার পাশে তাঁবু টানিয়ে ব্রিটেনে প্রবেশের সুযোগের অপেক্ষায় শত শত
অভিবাসী। স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতে, জীবন বাজি রেখে ছোট ছোট ডিঙি নৌকায় ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিচ্ছে
তারা। বেশ সক্রিয় হয়ে উঠেছে মানবপাচারের এ রুট।
ব্রিটেনে অবৈধ ভাবে নৌকায় করে এই ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিয়ে ব্রিটেনে প্রবেশ করেছেন ১৪৫ জন, যাদের
বেশিরভাগই এশিয়ান। এদের ভিড়ে মাঝে মাঝে দেখা মিলে বাংলাদেশিদের, যারা দালালদের সহযোগিতায়
ভয়ংকর দুর্গম ঝুঁকিপূর্ণ সীমান্ত পাড়ি দিয়ে এতোদূর পর্যন্ত এসেছেন।বিবিসি জানিয়েছে, চলতি বছরে এ পর্যন্ত
প্রায় ৩০০টি নৌকায় করে ৩ হাজার ৯৪৮ অভিবাসী ব্রিটেনে প্রবেশের চেষ্টা করে।
তবে গত ৭ আগস্ট বৃহস্পতিবার রেকর্ড সংখ্যক ২৩৫ জন অভিবাসী পৃথক পৃথক নৌকায় করে যুক্তরাজ্যে
প্রবেশের চেষ্টা করেন। ইংলিশ চ্যানেলে এসব অভিবাসীদের বাঁধা প্রদান করা হয় বলে নিশ্চিত করেছে
যুক্তরাজ্যের হোম অফিস। তাদের মধ্যে একজন শিশু ও একজন গর্ভবতী মহিলা রয়েছেন বলে জানা গেছে
গত জুন মাসে এই চ্যানেল ক্রস করে দুই হাজারেরও বেশি অভিবাসন প্রত্যাশী মানুষ যুক্তরাজ্যে প্রবেশ
করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। প্রতিদিন উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শিশু, কিশোর-কিশোরী ফ্রান্স থেকে সমুদ্র পথে
যুক্তরাজ্যে প্রবেশের চেষ্টা করে
সরকারি তথ্যমতে, ২০১৯ সালে অবৈধভাবে এ সীমান্ত পাড়ি দিয়ে আসা অভিবাসীর সংখ্যা ছিল ১৮শ’ আর
ব্রিটেনজুড়ে লকডাউনের দুই মাসেই এ সংখ্যা এক হাজারের বেশি ছাড়িয়েছে।
ইউরোপের বেশ কয়েকটি দেশের মতো ব্রিটিশ সরকারও অবৈধভাবে আসা অভিবাসীদের শিগগিরই বৈধতা
দিতে পারে বলে গুঞ্জন রয়েছে।যদিও ব্রিটেনের সঙ্গে ফরাসি পুলিশের নিয়মিত সাড়াশি অভিযানেও থামানো
যাচ্ছে না অভিবাসীদের অবৈধ এ যাত্রা।