নাটোর প্রতিনিধি: নাটোরের বড়াইগ্রামে শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ এবং সে ছবি তুলে রেখে দুই বছর ধরে যৌন সম্পর্ক স্থাপনে বাধ্য করার অভিযোগে জুলফিকার সরকার জিল্লুর (৫৫) নামে এক প্রাইভেট শিক্ষককে আটক করেছে পুলিশ। রোববার তাকে কোর্টের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। এর আগে শনিবার সন্ধ্যায় উপজেলার বড়াইগ্রাম ইউনিয়নের খাকসা গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে তাকে আটক করা হয়। আটক জিল্লুর খাকসা গ্রামের মৃত মোজাহার সরকারের ছেলে।
থানা সূত্রে জানা যায়, দুই বছর ধরে প্রাইভেট পড়ানোর কৌশলে জিল্লুর মেয়েটির সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। এরপর ওই ছাত্রীকে একাধিকবার ধর্ষণ করে এবং মোবাইল ফোনে অশ্লীল ছবি ধারণ করেন তিনি। সম্প্রতি অশ্লীল ছবিগুলো শিক্ষকের মোবাইল ফোন থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। পরে ঐ শিক্ষার্থীর পিতা এ ব্যাপারে থানায় অভিযোগ করলে পুলিশ তাকে আটক করে।
এ ব্যাপারে নির্যাতিতা ছাত্রী জানায়, নবম শ্রেণীতে পড়ার সময় থেকে আমি স্যারের কাছে প্রাইভেট পড়ি। সে সময় তিনি আমাকে কৌশলে ফাঁদে ফেলে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করে তার ছবি মোবাইলে তুলে রাখেন। পরে ওই ছবির ভয় দেখিয়ে একাধিক সময় তার সঙ্গে যৌন সম্পর্ক করতে আমাকে বাধ্য করেন তিনি।
অভিযুক্ত প্রাইভেট শিক্ষক জুলফিকার আলী বলেন, প্রায় দুই বছর যাবৎ তার সঙ্গে আমার সম্পর্ক, উভয়ের ইচ্ছাতেই শারীরিক সম্পর্ক হয়েছে। তাকে বাধ্য করার বিষয়টি সঠিক নয়। তবে ছবিগুলো সামাজিক মাধ্যমে কিভাবে গেল বুঝতে পারছি না।
বড়াইগ্রাম থানার ওসি দিলীপ কুমার দাস জানান, তার নামে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে। রোববার তাকে কোর্টের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
Leave a Reply