আজ ২২ আগস্ট ২০২০ বাংলাদেশের উত্তর জনপদের প্রখ্যাত ভাওয়াইয়া শিল্পী, গীতিকার, সুরকার ও সংগীত পরিচালক মো. কছিম উদ্দিন-এর ২৭তম মৃত্যুবার্ষিকী। ১৯৯২ সালের এই দিন ভোর ৫টায় নতুন কুড়িগ্রামের নিজ বাসায় তিনি ইন্তেকাল করেন। ভাওয়াইয়া গানের শিক্ষা, সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও গবেষণার জাতীয়ভিত্তিক নব গঠিত সংগঠন বাংলাদেশ ভাওয়াইয়া পরিষদ, রংপুরের মহাসচিব হিসেবে এই অধম আমি একেএম মোস্তাফিজুর রহমান মরহুম কছিম উদ্দিনের পরিবারকে অর্থ সহায়তা দানের উদ্দেশ্যে একটি ভাওয়াইয়া রজনীর আয়োজন করেছিলাম। প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক মো. আফজাল হোসেন। অন্যানের মধ্যে বিশেষ অতিথি ছিলেন পুলিশ সুপার রহমত জাহান সিকদার। তিনি প্রসংগক্রমে বলেছিলেন “আব্বাসউদ্দীন ভাওয়াইয়া সম্রাট হলে আমরা কছিম উদ্দিন সাহেবকে ভাওয়াইয়া যুবরাজ বলতে পারি, আপনারা কী বলেন”। রংপুর টাউন হলে উপস্থিত প্রায় ৬ শতাধিক শ্রোতা এবং রংপুর, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, গাইবান্ধা ও নীলফামারী, দিনাজপুর, থেকে আগত প্রায় শতাধিক ভাওয়াইয়া শিল্পী ও বাদ্যযন্ত্র শিল্পী করতালিতে টাউনহল মুখরিত করেছিলেন। ওই আলোচনা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেছিলেন আর এক দিকপাল -মহেশ চন্দ্র রায়। ওই অনুষ্ঠানে মরহুমের স্ত্রীর হাতে জেলা প্রশাসক সাহেব আমাদের অনেক কষ্টে সমগ্র করা অর্থ থেকে ৩০০০/- টাকা তুলে দিয়েছিলেন। ওটিই ছিলো দেশে অনুষ্ঠিত প্রথম ভাওয়াইয়া রজনী। মনে রাখতে হবে, আমরা ওই ভাওয়াইয়া রজনীর আয়োজন না করলে এস পি সাহেবও মঞ্চে উঠতেন না এবং ঘোষণাটিও দিতে পারতেন না। মাটি ও মানুষের প্রানের শিল্পীর, মহুম কছিম উদ্দিন মৃত্যু বার্ষিকী আজ। এই দিনে তার পরিবার দেশ বাসির কাছে বিরহী আত্মার মাগফিরাত ও দোয়া সবার কাছে প্রথনা করেছেন।
এ জাতীয় আরো খবর..
Leave a Reply