এস এম জীবন :রাজধানীর মিরপুরে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ছাত্রদল নেতা সাব্বির হোসেন সজিব । শনিবার ২৪ আগস্ট বেলা ১২টার সময় শাহ্আলী থানাধীন উত্তর বিশিল ৬ নম্বর রোড শাহআলী থানা ছাত্রদলের অস্থায়ী কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলনে আয়োজন করেন।সংবাদ সম্মেলনে সাব্বির হোসেন সজিব বলেন, মিরপুর আড়তের শীর্ষ চাঁদাবাজ নয়ন গং দীর্ঘদিন লাগামহীন ভাবে চাঁদাবজি করে আসছে। গত ৬ আগস্ট (সোমবার) নয়ন চাঁদা নিতে আসলে বৈষম্য বিরোধী ছাত্ররা চাঁদাবাজি বন্ধে এগিয়ে আসে ।
এ সময়ে তাদের সঙ্গে আমি ও মানিক খান তাদের সাথে সম্মতি প্রকাশ করে একত্রিত হয়ে চাঁদাবাজ নয়ন গংদের বাধাঁ প্রদান করি। সে সময়ে চাঁদাবাজ নয়ন ও তার সাথে থাকা লোকজন হট্টগোল সৃষ্টি করে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের অনেক ছাত্ররা জড়ো হতে শুরু করলে চাঁদাবাজ নয়ন গং পালিয়ে যেতে বাধ্য হয় ।
এ নিয়ে গত ২২শে আগস্ট বৃহস্পতিবার বহুল প্রচারিত একটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকার অনলাইনে ‘মিরপুরে ছাএদলের নাম ভাঙ্গিয়ে ফলের আড়ৎ দখল শিরোনামে খবর প্রকাশিত হয়। সেখানে আমাকে ও মানিক খান সহ কয়েকজনের নাম উল্লেখ করা হয়। প্রকৃত ঘটনাটি প্রতিবেদককে ভুল বুঝিয়ে সঠিক ঘটনাটি আড়াল করার চেষ্টা করছে চাঁদাবাজ চক্র ।
সাব্বির হোসেন সজিব আরো বলেন, আমরা ভোক্তাভোগী সুলতান বানিজ্য ভান্ডারের স্বত্তাধিকারী সুলতান মিয়াকে তার দোকানে চাঁদাবাজি বন্ধে সহযোগিতা করেছি । তখন চাঁদাবাজ নয়নের কোন লোক একটি ভিডিওটি ধারণ করে এবং প্রতিবেদককে ঘটনা ভুল ব্যাখা দেন।
এ ব্যাপারে ভোক্তাভোগী সুলতান বানিজ্য ভান্ডারের স্বত্তাধিকারী সুলতান হোসেন বলেন, নয়ন একজন সকলের পরিচিত চাঁদাবাজ দীর্ঘদিন ধরে বিগত সরকারে ক্ষমতাশীনদের ছত্রছায়ায় থেকে চাদাবাজি করে আসছে। কেউ চাদাঁ দিতে না চাইলে তাকে মারধর সহ ভয়ভীতি ও বিভিন্ন মামলা দেখিয়ে আসছে।
বিগত সরকার আমলে এই চাঁদাবাজ নয়নের ব্যপারে বহু গনমাধ্যমে ফুটপাতে চাঁদাবাজিকে কেন্দ্র করে সংবাদ প্রকাশিত হয়। এখন চাঁদাবজি করতে না পারায় সাব্বির হোসেন সজিব ও মানিক খানের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে অসত্য ভিত্তিহীন উদ্দেশ্য প্রনোদিত হয়ে সামাজিক ভাবে তাদের হেয় করা হচ্ছে বলে আমরা মনে করি। তাই উক্ত সংবাদটির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
জনাব সুলতান আরো বলেন, তার দোকানটি চাঁদাবাজ নয়ন ভাড়া নিয়োছিল ২০১৩ সালে এক বছরের জন্য। কিন্তু ২০২০ সাল থেকে সে ভাড়া না পরিশোধ করে উল্টো আমাকে হত্যার হুমকি প্রদান করে আসছে এই বিষয়ে শাহআলী থানা জিডিও করা আছে। কিন্তু কোন প্রতিকার না পেয়ে সাবেক এমপি আসলামের নিকট অভিযোগ করলে তার বড় ভাই মফিজুল ইসলাম বেবুকে বলতে বলেন।
কিন্তু বেবু মিয়া আমার কাছে ৮০ হাজার টাকা নিয়েও সমাধান করেনি।কারন চাঁদাবাজ নয়ন মিরপুরের সাবেক মহিলা এমপি সাবিনা আক্তার তুহিনের বোন জামাই।
তাই আমি মনে করি এই মিথ্যা সংবাদ প্রকাশে সাব্বির হোসেন সজিব ও মানিক খানর যে ক্ষতি হয়েছে সে বিষয়ে বিএনপি ও ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় নেতাদের প্রতি বিশেষ অনুরোধ ভুল তথ্যের জন্য কোন রাজনৈতিক ক্ষতিসাধন না হয়,এবং তাদের বহিষ্কারাদেশ তুলে নেওয়ার আহবান করছি। এ সময় শাহআলী থানা ছাত্রদলের অনেক নেতা কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন ।
Like this:
Like Loading...
Related
এ জাতীয় আরো খবর..