ভূরুঙ্গামারীতে বঙ্গবন্ধু হাইস্কুল সহো ৯ টি প্রাথমিক স্কুল দুধকুমার নদীর কবলে !
আব্দুর রাজ্জাক( কাজল) ভূরুঙ্গামারী প্রতিনিধিঃ
কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে দুধকুমার নদীর কবলে ৯টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ১টি হাইস্কুল পরেছে।উপজেলার ২ নং পাইকের ছড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পাইকডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,আব্দুল করিম (১৫০০) সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, গনাইর কুঠি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ১ নং চর ধাউরারকুঠি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দক্ষিণ চরভূরুঙ্গামারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, হেলোডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, উত্তর ধলডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চর তিলাই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও বঙ্গবন্ধু উচ্চ বিদ্যালয়।
স্থানীয়দের অভিযোগ, দীর্ঘদিন থেকে দুধকুমার নদী ভাঙতে থাকলেও বিদ্যালয়গুলোকে ভাঙনের হাত থেকে রক্ষায় কোনো কার্যকারি পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি কেউ।অতি তারাতারি এর পদক্ষেপ না নিলে নদীতে বিলিন হয়ে যাবে স্কুল গুলো।তাতে শিক্ষা থেকে হাজার হাজর ছাত্র ছাত্রী বঞ্চিত হবে।
উপজেলায় লকডাউনে অন্যদের তুলনায় শ্রমিকরা বিপাকে পরেছে বেশী।লকডাউনে মিনিবাস,ট্রাক,পিকাপ,রিক্সা, অটো,ভ্যান চালকরা মাথায় হাত দিয়েছেন।যাদের রাস্তায় একদিন গাড়ী না চালালে খাবার জুটে না তাদের দিনের পর দিন লকডাউন হওয়ার না খেয়ে থাকতে হচ্ছে অনেককেই।উপজেলার প্রশাসনের সহোযোগিতা চেয়েছেন শ্রমিকরা।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দীপক কুমার দেব শর্মা বলেন, ২নং পাইকের ছড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি ভাঙনের কবল থেকে রক্ষা করতে, প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ড কুড়িগ্রামকে জানানো হয়েছে বাকীগুলো তদন্ত করে জানানো হবে।আর লকডাউনে যারা একিবারে অসহায় হয়ে পড়েছে আমরা তাদের প্রতিদিন ৩-৭ জন করে খাদ্য সামগ্রী দিয়ে যাচ্ছি।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম বলেন, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে পানি উন্নয়ন বোর্ড কুড়িগ্রামকে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা নিতে অনুরোধ করবো।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোডের নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুল ইসলাম বলেন, ভাঙনের শিকার স্কুলগুলোর বিষয়ে প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগ থেকে আমাকে কেউ জানায়নি। তবে বিষয়টি খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা নেবে বলে আশা ব্যাক্ত করেন ।