1. dainiksurjodoy24@gmail.com : admin2020 : TOWHID AHAMMED REZA
  2. editor@surjodoy.com : Daily Surjodoy : Daily Surjodoy
মধুপুরে চায়না জালে সয়লাব, চলছে মাছ নিধনে মহোৎসব
শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৪:২২ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
মানিকগঞ্জের সানোয়ারের বিরুদ্ধে সরকারি চাকরি দেওয়ার নাম করে কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ। নড়াইলের লোহাগড়ায় অতিবৃষ্টিতে সোনালী মৎস্য খামারের ব্যাপক ক্ষতি রাজশাহী-৪ আসনের সাবেক এমপি এনামুল ঢাকায় গ্রেপ্তার ফুলবাড়ীতে বালু ভর্তি ট্রাক্টর থেকে ৩০০ বোতল ফেন্সিডিলসহ ২ মাদক কারবাররি আটক মিরপুর গৃহায়ণ অফিস মামাতো -ফুফাতো দুই ভাইয়ের দৌরাত্মে জিম্মি রাজশাহী বরেন্দ্র প্রেসক্লাবের তৃতীয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত ইটভাটা মালিক হালিমের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মিথ্যা মামলা সাভারে ১৬ বছর দু:সময়ের কান্ডারী নির্যাতিত বিএনপি নেতা খোরশেদ আলম ডক্টর ল্যাব এন্ড কনসালটেশনের শেয়ার হোল্ডারদের সাথে প্রতারনার অভিযোগ লোহাগড়ায় জোড়া হত্যাকান্ডের পর বীরমুক্তিযোদ্ধার বাড়িতে লুটপাট ও ভাংচুরের অভিযোগ

মধুপুরে চায়না জালে সয়লাব, চলছে মাছ নিধনে মহোৎসব

  • আপডেট টাইম : রবিবার, ৬ আগস্ট, ২০২৩, ৯.৫৬ পিএম
  • ১০৭ বার পঠিত

আঃ হামিদ মধুপুর টাঙ্গাইল প্রতিনিধিঃ 

 

টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় চলছে নিষিদ্ধ চায়না জাল দিয়ে মাছ ধরার মহোৎসব। নদনদী, খালবিল ও ডোবা জলাশয়ে পানি উঠার সাথে সাথে ছেয়ে গেছে শতশত চায়না জালে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, খালবিলে সারিবাঁধা প্রতিটি চায়না জালে রেণু পোনা থেকে শুরু করে ছোট বড় সব ধরনের মাছই জালে আটকা পড়েছে। ইদিলপুর এলাকার পিন্টু সাংমা জানান, গত বছর সামান্য কিছু হলেও এলাকার বাজার গুলোতে দেশীয় মাছ দেখা যেতো কিন্তু এবছর বর্ষা শুরু হতে না হতেই সব মাছ চায়না জাল দিয়ে ধরা হচ্ছে। এ ভাবে ছোট বড় সব ধরনের মাছ ধরা হলে ভবিষ্যতে দেশীয় মাছের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যাবেনা। তিনি আরও বলেন, শুধু খাল-বিলের চায়না জাল ধংস করলেই হবেনা, আগে বিক্রেতাকে আইনের আওতায় আনতে হবে তবেই এর ব্যবহার অনেকাংশেই কমে যাবে।

গতবছর বেশ কয়েকটি অভিযান পরিচালনা করার পরিপ্রেক্ষিতে চায়না জালের ব্যবহার অনেকাংশেই কমে গেলেও এ বছর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা এখন পর্ষন্ত কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ার কারণে উপজেলার চারিদিকে চায়না জালে সয়লাব হয়ে পড়েছে বলে জানান স্থানীয় লোকজন। বিশেষ করে কাকরাইদ হয়ে ধলঘাটে বংশাই নদীতে মিশে যাওয়া গুজাখালে শতশত চায়না জাল রয়েছে। এক একজনের ৪টি থেকে ৮টি পর্ষন্ত চায়না জাল রয়েছে। এছাড়াও থলথাট হতে টিকরী পর্ষন্ত বংশাই নদীর দুপারে এবং মির্জাবাড়ী ফাজিলপুর ঘাট সহ নদীর দুপারে কয়েকশো জাল পাওয়া যায়। এছাড়া গঙ্গাহরী গ্রামের তুলাচাপড়া বিল, কুড়ালিয়া গ্রামের গাবা চড়া, কুড়ালিয়া আটাপাড়া গ্রামের মাঝখান দিয়ে বয়ে যাওয়া খালে প্রচুর চায়না জাল রয়েছে।

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ বলেন, নদীতে পানি আসতে শুরু করায় অবৈধ চায়না জালগুলোর ব্যবহার বাড়ছে। অবৈধ চায়না জাল বন্ধে বিভিন্ন প্রচার-প্রচারণা চালানো হচ্ছে। এছাড়া বেশ কয়েকটি উপজেলায় অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। চায়না জাল নিধনের অভিযান পরিচালনার জন্য প্রতিটি উপজেলার মৎস কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে যাতে নদীতে অবৈধ চায়না জাল ব্যবহার না করা হয়।

তিনি আরও বলেন, চায়না জালকে একটা ফিক্সড ইঞ্জিন বলা হয়। এই জালে ছোট-বড় সব মাছই ধরা পড়ে। বিশেষ করে দেশীয় প্রজাতির মাছগুলো বেশি আটকে এই চায়না জালে। এটি জলজ উদ্ভিদ ও জীববৈচিত্র্যের জন্য হুমকি। চায়না জাল খাল-বিল, জলাশয়, ডোবা ও নদীতে ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। পর্ষায়ক্রমে প্রতিটি উপজেলায় চায়না জাল নিধনের জন্য অভিযান পরিচালনা করা হবে বলে তিনি জানান।

এ বিষয়ে মধুপুর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা তারিকুল ইসলামের সহিত কথা বললে তিনি জানান, এ বিষয়ে আমরা অবগত আছি খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..

Comments are closed.

© All rights reserved  2020 Daily Surjodoy
Theme Customized BY CreativeNews