শেখর চন্দ্র সরকার বগুড়া জেলা প্রতিনিধিঃ
মনোনয়ন ফরম কিনতে গিয়ে জানলেন তিনি মৃত!
কাউন্সিলর প্রার্থী হতে অনেক আগে থেকেই নির্বাচনের প্রস্তুতি ও গণসংযোগ করে আসছিলেন বগুড়ার সোনাতলা পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা আবুল কাশেম শেখ। আগামী ২ নভেম্বর নির্বাচনের জন্য ওই পৌরসভায় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়। নির্বাচনে পৌরসভার ৫ নং ওয়ার্ড থেকে কাউন্সিলর প্রার্থী হতে মনোনয়ন ফরম কিনতে যান স্থানীয় উপজেলা নির্বাচন অফিসে। সঙ্গে জাতীয় পরিচয়পত্রও নিয়ে যান। কিন্তু মনোনয়ন ফরম কিনতে গিয়ে জানতে পারলেন ভোটার তালিকায় তিনি ১১ বছর আগেই মৃত। যার কারনে তিনি মনোনয়নপত্র তুলতে পারেননি।
আবুল কাশেম শেখ পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডের চমরগাছা গ্রামের মৃত আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে।
আবুল কাশেম জানান, তার যে জাতীয় পরিচয়পত্র রয়েছে সেখানে তিনি জীবিত আছেন। তবুও নির্বাচন কমিশনের ডাটাবেজে তার নাম খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিলোনা। পরে তার নাম খুজে পাওয়া গেল মৃতের তালিকায়। ওই তালিকায় তাকে ২০১১ সালে মৃত দেখানো হয়েছে।
আব্দুল কাশেম শেখ আরও বলেন, ‘বেঁচে থাকতেই আমাকে মৃত বানিয়েছে নির্বাচন অফিস। এ কারণে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়েও নির্বাচনে অংশ নিতে পারছিনা। এখন কতদিনে জীবিত হতে পারবো সেটা নিয়েই চিন্তিত আমি।’
উপজেলা নির্বাচন অফিস জানায়, আব্দুল কাশেম শেখের এনআইডি নাম্বার দিয়ে কম্পিউটারে সার্চ দিলে নো ডাটা ফাউন্ড লেখা ওঠে। তবে মৃত্যু তালিকায় রয়েছে তার নাম। নির্বাচন অফিসের তথ্যানুযায়ী ২০১১ সালে কোন কারণে তার এই মৃত্যুর ঘটনা ভুল করে ঘটেছে।
স্থানীয় সোনাতলা উপজেলা নির্বাচন অফিসার আশরাফ হোসেন বলেন, কোন ভুলের কারণেই এই ঘটনা ঘটেছে। সংশোধনের আবেদন করলে এই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। তবে এবারের মতো তিনি নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। এতো দ্রুত সময়ের মধ্যে ভোটার হালনাগাদ তালিকায় তার নাম অন্তর্ভুক্ত করা সম্ভব নয়।