শিশুবন্ধু মুহাম্মদ আলী :
মশার কামড়ের যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ জনজীবন! বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত ১২৬ প্রজাতির মশা চিহ্নিত হয়েছে। স্থানভেদ এর সংখ্যা একেক জেলায় একেক রকম হয়ে থাকে। তবে ১২৬ প্রজাতির মশা থাকলেও সবাই কিন্তু রোগ ছড়ায় না। রোগ ছড়ায় মাত্র ২২ প্রজাতির মশা। কিন্তু সব মশা রোগ না ছড়ালেও এর এর উপদ্রবের মাত্রা দিন দিন বেড়েই চলছে। যার ফলে অতিষ্ঠ হয়ে পড়ছে মানুষের জনজীবন। স্কুল পড়ুয়া ছাত্রছাত্রীদের লেখা পড়ারও বিঘ্ন ঘটছে। এভাবে যদি মশার উপদ্রব দিন দিন বাড়তে থাকে তাহলে জনজীবন ব্যাপক সমস্যার সম্মুখীন হবে। বিশেষজ্ঞরা ধারণা করছেন এই মশা আগামী মার্চ মাসে আরও বাড়তে পারে। তাই এখনি এর লাগাম টেনে ধরতে হবে। বিশেষ করে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগে মশার উপদ্রব তুলনার চেয়ে বেশি। ঢাকার পরে চট্টগ্রাম মহানগরীতে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে মশার উপদ্রব ফলে মশার যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ হয়ে পড়ছে মানুষ। ঢাকায় প্রতিনিয়ত মশক নিধনের কাজ যেভাবে করে যাচ্ছে সেই তুলনায় চট্টগ্রামে কিছুই হচ্ছে না। প্রতিটা অলিতে গলিতে রাস্তায় জমে থাকা ময়লা আবর্জনা থেকে এই মশার উৎপত্তি হয়ে থাকে।
এই মশার কামড়ে অতিষ্ঠ হয়ে পড়ছে চট্টগ্রাম নগরীর ৫০-৬০ লাখেরও বেশি মানুষ। রাস্তা ঘাটে যত্রতত্র ময়লা আবর্জনার গন্ধ আর সন্ধ্যা হলেই মশার অস্বাভাবিক যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ নগরবাসী। শুধু যে সন্ধ্যায় মশার উপদ্রব তা নয় ; দিনের বেলায়ও মশার উপদ্রব কোন অংশে কম নয়। রাতে মশারী বা কয়েল ব্যবহারের পরও মশার উপদ্রব থেকে রেহাই পাওয়া যাচ্ছে না। এমনকি দিনের বেলায়ও মশারী বা কয়েল জ্বালাতে হচ্ছে যা চরম অসস্তি ও বিরক্তিকর। এর অন্যতম কারণ হলো যত্রতত্র ময়লা আবর্জনার স্তুপ, অপরিষ্কার নালা নর্দমা সহ বিভিন্ন আবর্জনার ফলেই মশার এতটা উপদ্রব বেড়েছে। যার ফলে মানুষ চরম অতিষ্ঠ।
শিশু থেকে শুরু করে সকল বয়সের মানুষের চরম ভোগান্তি কারণ হয়ে পড়ছে এই মশা। মশার উপদ্রব ও যন্ত্রণা থেকে বাঁচাতে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের জরুরী কার্যকর পদক্ষেপ প্রয়োজন। অন্যথায় মশা বাহিত রোগে ভয়ানক পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হবে চট্টগ্রাম বাসীর। প্রতি টা ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে মশা মারার ওষুধ চিটিয়ে দেওয়ার কথা থাকলেও পর্যাপ্ত পরিমাণে তার কোন পদক্ষেপ দেখাই যাচ্ছে না। এই মশার উপদ্রব থেকে নগরবাসীকে বাঁচাতে প্রতিটা ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে নালা নর্দমা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখার কাজ অব্যহত রাখতে হবে। তার পাশাপাপাশি সকলে যার যার বাড়ির আশপাশের ঝোপঝাড় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখার বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে। তবেই এই মশার উপদ্রব নির্মূল করা সম্ভব হবে।
লেখক: শিশু সংগঠক ও মানবাধিকারকর্মী।
শিশু সংগঠক ও মানবাধিকার কর্মী।