1. admin@surjodoy.com : Main : Admin Main
  2. dainiksurjodoy24@gmail.com : admin2020 : TOWHID AHAMMED REZA
  3. editor@surjodoy.com : Daily Surjodoy : Daily Surjodoy
মসজিদে বিস্ফোরণে দুই ভাইয়ের মৃত্যুতে শোকাহত
শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৪১ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
নড়াইল মুক্ত দিবস,শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস ও ১৬ ডিসেম্বর পালনের প্রস্তুতি সভা নোয়াখালীতে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে  শহিদদের স্মরণে স্মরণসভা  সাবেক এমপি রশীদুজ্জামানের ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করছেন করেছেন আদালত শহীদ আবু সায়েদের সনদ তুলে দিলেন প্রধান উপদেষ্টা সাভারে পাওনা টাকার জন্য বন্ধুকে ছুরিকাঘাতে হত্যামামলার আসামী রনি গ্রেপ্তার কাশিমপুরে জমি বিরোধ ও অপপ্রচারের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন কেশবপুরে সেই অবৈধ ইটভাটা রোমান ব্রিকসটি ভেঙ্গে গুড়িয়ে দিয়েছে প্রশাসন নবাবগঞ্জে শ্রমীকলীগ নেতার বিরুদ্ধে সরকারি খালের মাটি লুটের অভিযোগ ক্যাব প্রস্তাবিত জ্বালানি রূপান্তর নীতি প্রনয়ন,বিদ্যুৎ ও জ্বালানিখাত সংস্কারের দাবিতে স্মারকলিপি প্রদান সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় বাস চাপায় প্রাণ গেল ২ মোটরসাইকেল আরোহীর

মসজিদে বিস্ফোরণে দুই ভাইয়ের মৃত্যুতে শোকাহত

  • আপডেট টাইম : শনিবার, ৫ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ৯.৩০ পিএম
  • ২২৬ বার পঠিত

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি :

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার পশ্চিম তল্লা এলাকার মসজিদে বিস্ফোরণে দুই ভাইয়ের মৃত্যুতে শোকাহত।
বড় দুই ভাইয়ের পুড়ে যাওয়ার দৃশ্য খুব কাছ থেকেই দেখেছে ইয়াসিন। ভাগ্যের জোরে বেঁচে গেলেও এখনো অচেতন হয়ে পড়ে আছে সে। ইয়াসিনের মা পারুল আছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ চত্বরে বার্ন ইনস্টিটিউটে। বাবাও সেখানে। ইয়াসিন অন্যজনের বাড়িতে অচেতন হয়ে পড়ে আছে। পাশে বসে আছে স্থানীয় কয়েকজন।

প্রায় আধা ঘণ্টা ইয়াসিনের চোখেমুখে পানি ছিটানোর পর একবার চোখ মেলেছিল সে। চোখ মেলেই গোঙাতে গোঙাতে ইয়াসিন কী যেন বলে উঠল উচ্চ স্বরে। বোঝা যায়নি তার কথা। তারপরই আবার বলে উঠল, ‘আমার ভাই দুইডা কই? আমি কেন পুড়িনি? আমিও পুড়তে চাই। আমি বাঁচতে চাই না। আমার সামনেই পুড়ে গেল সবাই।’ এসব বলতে বলতে ফের অচেতন হয়ে পড়ে ইয়াসিন।

ইয়াসিনের এই চিৎকার ভারি করে তুলেছিল পুরো বাড়ির পরিবেশ। ওই বাড়ির মানুষ ফুঁপিয়ে কেঁদে উঠেছিল তখন। কাঁদতে কাঁদতে সেখানে থাকা মুসলিমা আক্তার নামের একজন বলে উঠলেন, ‘পারুল আপা সকাল থেকে রাত পর্যন্ত লোকের বাড়িতে বাড়িতে আরবি পড়ান। আরবি পড়িয়েই তিন ছেলের লেখাপড়া করান তিনি। আর আজ বড় দুই ছেলেই মারা গেল! কী নিয়ে থাকবে আপা? আর কিছুদিন পরেই তো ছেলেরা আয় করা শুরু করত। তখন হয়তো সুখ আসত আপার। আপার স্বামীও দেখে না তাদের। আরেকটা বিয়ে করেছে। এসব ভেবে ভীষণ খারাপ লাগছে।’

পারুলের বড় ছেলে সাব্বির নারায়ণগঞ্জ সরকারি তোলারাম কলেজের বিবিএ প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী। মেজ ছেলে জুবায়ের একই কলেজের উচ্চ মাধ্যমিক দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। পশ্চিম তল্লা এলাকার বোমওয়ালা বাড়ির পাশের এক বাসার দ্বিতীয় তলার ভাড়া একটি কক্ষে তিন ছেলে নিয়ে থাকতেন পারুল আক্তার। সেখানে গিয়ে দেখা যায়, সাব্বির আর জুবায়েরের কলেজ ব্যাগ পড়ে আছে ঘরে। শুধু নেই তাঁরা দুই ভাই।

ওই বাড়ির মালিক মো. সুমন বলেন, ‘আমার বাসায় ভাড়া থাকেন পারুল আপা। সারা এলাকার মানুষের আরবি পড়ান আপা। এই এলাকারই বাসিন্দা তিনি। ছোটবেলা থেকেই তিন ছেলেকে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ান পারুল আপা।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..

Comments are closed.

© All rights reserved  2020 Daily Surjodoy
Theme Customized BY CreativeNews