উবায়দুল্লাহ খানজাহান আলী খুলনাঃ
হিজরী ৬০ সনে এজিদ বিন মুয়াবিয়া, পিতার মৃত্যুর পর নিজেকে মুসলিম বিশ্বের খলিফা হিসাবে ঘোষণা করে। তার সম্পর্কে বলা হয় যে সে মদ্যপানকে বৈধ ঘোষণা করেছিল।
অধিকন্তু সে একই সঙ্গে দুই সহোদরাকে বিয়ে করাকেও বৈধ ঘোষণা করেছিল। শাসক হিসাবে সে ছিল স্বৈরাচারী ও অত্যাচারী। ইমাম হুসাইন এজিদের আনুগত্য করতে অস্বীকৃত হন এবং ইসলামের সংস্কারের লক্ষ্যে মদীনা ছেড়ে মক্কা চলে আসেন। পরবর্তীতে তিনি কুফা বাসীর চিঠি পেয়ে মক্কা থেকে তিনি কুফার উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন।
শেষ পর্যন্ত তিনি ইরাকের কারবালা নামক স্থানে তাবু খাটান। এ সময় উমর ইবনে সাদ আবি ওক্কাসের নেতৃত্বে চার হাজার সৈন্য কারবালায় প্রবেশ করে। কয়েক ঘণ্টা পর শিমার ইবনে জিলজুশান মুরাদির নেতৃত্বে আরো বহু নতুন সৈন্য এসে তার সাথে যোগ দেয়৷ কারবালায় দুই পক্ষ মুখোমুখি অবস্থান নেয় এবং যুদ্ধ শুরু হয়।
এই অসম যুদ্ধে ইমাম হুসাইন এবং তার ৭২ জন সঙ্গী শাহাদৎ বরণ করেন। শিমার ইবনে জিলজুশান মুরাদি নিজে কণ্ঠদেশে ছুরি চালিয়ে ইমাম হুসাইনকে হত্যা করে। সেদিন ছিল হিজরী ৬১ সনের ১০ মুহররম রোজ শুক্রবার।
আর এই নির্মম ইতিহাসের জন্য এই দিনটি বিশেষ ভাবে স্বরণীয়।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এই দিন টি শোকাচ্ছন্ন ভাবে ইমাম হোসাইনের শাহাদাৎ দিবস হিসেবে পালিত হয়।
Like this:
Like Loading...
Related
এ জাতীয় আরো খবর..