মো:ফিরোজ, বাউফল:
পটুয়াখালী র বাউফলে মাদক মামলার আসামীর ভয়ে ঘর-বাড়ি ছেড়ে জীবন বাঁচাতে পালিয়ে বেড়াচ্ছে এক মুদি ব্যবসায়ীর পুরো পরিবার। বন্ধ রয়েছে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। গোপনে ঠাঁই নিয়েছে পার্শ্ববর্তী ইউনিয়নের এক আত্মীয়র বাড়িতে। এমন ঘটনা ঘটেছে উপজেলার সূর্য্যমনি ইউনিয়নের পশ্চিম রামনগর গ্রামে।
জানা যায়, সূর্য্যমনি ইউনিয়নের রামনগর গ্রামের মৃত আলাউদ্দিনের ছেলে মো. ডালিম একজন চিহিৃত মাদক ব্যবসায়ী। তাঁর বিরুদ্ধে বাউফল থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা হয়। এই মামলার জেরে একই গ্রামের আবুল বশার নামের এক ব্যবাসায়ীর পুরো পরিবারকে ঘর-বাড়ি ছাড়া করেছে ডালিম। ওই পরিবার আশ্রয় নিয়েছে এক আত্মীয়র বাড়িতে। এবিষয়ে জানতে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, আবুল বশারের ঘর তালাবদ্ধ। রয়েছে হামলার আলামত।
এলাকাবাসী জানায়, অনেক দিন যাবৎ বাড়িতে থাকছে না বশারের পরিবার। কেন থাকছে না এমন বিষয়ে জানতে চাইলে ভয়ে কেউ কিছু বলতে রাজি হয়নি। কনকদিয়া বাজারে আবুল বাশারের মুদি মনহারীর ব্যবসা প্রতিষ্ঠানটিও বন্ধ রয়েছে।
এবিষয়ে আবুল বশার বলেন, ডালিমের বিরুদ্ধে থানায় মাদক মামলা হয়েছে। সেটা থানা পুলিশের বিষয়। কিন্তু ডালিম আমাদের মিথ্যা দোষারোপ করে। আমরা নাকি তাকে মামলায় ফাঁসিয়েছি।
এঘটনার জের ধরে ডালিম আমাদের বাড়িতে তাঁর সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে হামললা করে। আমাদের ঘর ভাঙচুর করে। আমাদের হত্যা করতে বাড়ির সামনে ধাড়ালো অস্ত্র নিয়ে ওৎপেতে বসে থাকে। জীবন বাঁচাতে আমরা পালিয়ে এসেছি। গত ১৮/১৯দিন যাবৎ এক আত্মীয় বাড়িতে চার সন্তার ও স্ত্রী নিয়ে মানবতর জীবন-যাপন করছি। আবুল বশারের স্ত্রী নাজমা বেগম বলেন,‘ আপনারা আমাদের বাড়ি যাওয়া ব্যবস্থা করে দিন। আমি আমার সন্তানদের নিয়ে আমার বাড়িতে ফিরে যেতে চাই।’
এবিষয়ে মো. ডালিমের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘হইছি একদিন, মরমু একদিন। ওগোরে শেষ করে ছাড়মু। তাতে জেল ফাঁস যা হয়।’
এবিষয়ে সূর্য্যমনি ইউপি চেয়ারম্যান মো. আনোয়ার হোসেন বাচ্চু বলেন,‘ আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য পুলিশকে একাধিক বার বলা হয়েছে। পুলিশ কোন ভূমিকা নিচ্ছে না।’
এবিষয়ে বাউফল থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন,‘ ডালিমের বিরুদ্ধে মাদক মামলা রয়েছে। তাকে গ্রেফতার করার চেষ্টা চলছে। ’