1. admin@surjodoy.com : Main : Admin Main
  2. dainiksurjodoy24@gmail.com : admin2020 : TOWHID AHAMMED REZA
  3. editor@surjodoy.com : Daily Surjodoy : Daily Surjodoy
মায়ের কোল ছেড়ে দেখি এ জীবন শূন্য
শনিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৩৫ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
দেশনায়ক তারেক রহমানের দিক নির্দেশনায় সন্ত্রাস নৈরাজ্য ও চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে নড়াইল ডিবি কর্তৃক ৫০০(পাঁচশত) গ্রাম গাঁজাসহ ০১জন গ্রেফতার নড়াইল মুক্ত দিবস,শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস ও ১৬ ডিসেম্বর পালনের প্রস্তুতি সভা নোয়াখালীতে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে  শহিদদের স্মরণে স্মরণসভা  সাবেক এমপি রশীদুজ্জামানের ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করছেন করেছেন আদালত শহীদ আবু সায়েদের সনদ তুলে দিলেন প্রধান উপদেষ্টা সাভারে পাওনা টাকার জন্য বন্ধুকে ছুরিকাঘাতে হত্যামামলার আসামী রনি গ্রেপ্তার কাশিমপুরে জমি বিরোধ ও অপপ্রচারের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন কেশবপুরে সেই অবৈধ ইটভাটা রোমান ব্রিকসটি ভেঙ্গে গুড়িয়ে দিয়েছে প্রশাসন নবাবগঞ্জে শ্রমীকলীগ নেতার বিরুদ্ধে সরকারি খালের মাটি লুটের অভিযোগ

মায়ের কোল ছেড়ে দেখি এ জীবন শূন্য

  • আপডেট টাইম : শনিবার, ৪ জুলাই, ২০২০, ৭.০০ পিএম
  • ২২৭ বার পঠিত
রাব্বি হাসানঃ
রতিটি সন্তানের জন্য “মা” হচ্ছে প্রথম স্কুল, প্রথম শিক্ষক, নিরাপদ আশ্রয়। মায়ের ভ্রুণ থেকে শুরু করে, জন্ম গ্রহণ, শৈশব, কৈশোর, যৌবন, বৃদ্ধকালিন জীবনের প্রতিটি স্তরের মায়ের অবদান সবচেয়ে বেশি। শৈশবে যেমন মায়ের চোখের আড়াল হয়ে যেতে ইচ্ছে করতো কিন্তু পারা যেত না তেমনি বয়স বাড়ার সাথে সাথে সময়, কর্মব্যস্থতার উপেক্ষা করে মায়ের চোখে চোখে থাকার ইচ্ছে করলে ও এখন পারা যায় না, শৈশবের আড়াল যেন এখন এসে গেছে।
শৈশবে মার কাছে নানা কিছু বায়না করতাম। প্রতিবছর পহেলা বৈশাখে আমাদের পাশের গ্রামে বৈশাখী মেলা হতো, দেখতাম শৈশবের বন্ধুরা যেত, আশাপাশের অনেকে যেত কিন্তু আমি যেতে পারতাম না, মার কাছে বায়না ধরতাম মেলায় যাবো,কিন্তু মা বলতো পহেলা বৈশাখের দিন অনেক তুফান হয় যদি আমি হারিয়ে যাই তাই যেতে দিবে না। বাবা থাকতো প্রবাসে, বাবা কাছে থাকলে হয়তো নিয়ে যেত, মা তখন বাঁধা হতে পারতো না, দেখতাম শৈশবের বন্ধুরা তার বাবার সাথে, ভাইয়ের সাথে যেত আমি পারতাম না আমার বড় ভাইও ছিল না। ভীষণ মন খারাপ হতো, কান্না করতাম সারাদিন।
একবার, নানু আসলেন আমাদের বাড়ি, এসে বললেন আমাকে নানুর সঙ্গে করে রাঙামাটি নিয়ে যাবেন উনার বড় ভাইয়ের বাসায়। আমি তো মহাখুশি, কারন শুনেছি রাঙামাটি অনেক বড়বড় পাহাড় ঝর্ণা আছে। আমাকে মা নতুন জামা কাপড় পড়িয়ে দিল, খানিকক্ষণ পর বাবা ফোন দিলের প্রবাস থেকে আমার যাওয়া নিয়ে ঝগড়া হলো মার সাথে, আমি নাকি হারিয়ে যাবো, শেষ পর্যন্ত আর আমার যাওয়া হলো না, সেদিনও বড্ড কেঁদেছিলাম, আমার মা এমন কেন? অনেক অভিমান হচ্ছিল মার সাথে। সারাদিন কথা বলিনি মার সাথে।
কিন্তু আজ আমি একা একা অনেক গুলো শহর ঘুরেছি, থাকছি একা, খাচ্ছি একা, ঘুমচ্ছি একা। যে ছেলেটাকে মা কখনো চোখের আড়াল হতে দিতো না সেই আমি আজ ছয় বছর ধরে একা একটি শহরে থাকি। মাস দুমাস পর একবার মার কাছে যাই। আগের মতো মা কি এখনও ভয় পায় আমাকে নিয়ে?
মাঝে মধ্যেই মনে হয় এই বুঝি বড় হলে গেলাম, আবার ভাবি মার কাছে সন্তান কখনো বড় হয় না। আবার ভাবি ছোট-ই যদি থাকি তাহলে কেন মা আগের মতো এত কড়াকড়ি হয় না, কেন একা বাড়ির বাহিরে যেতে মানা করে না? কেন একা একটি শহরে থাকতে দিচ্ছে? এখন মনে হয় আমার শৈশব টাই তো ভালো ছিল।
শৈশবের আবদার গুলো ছোট ছিল, হয়তো সব আবদার পূরণ হয়নি, হয়তো পারিনি একা একা মেলায় যেতে, পারিনি রাত বিরেতে বাড়ির বাহিরে থাকতে, কিন্তু এখন সব কিছু নিজের ইচ্ছে মতো পারলেও আগের সেই আনন্দ টাই শুধু নেই, নেই শৈশবের সেই অনুভূতি। এখন গুনগুন করে বলি

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..

Comments are closed.

© All rights reserved  2020 Daily Surjodoy
Theme Customized BY CreativeNews