ইসমাইল হোসেন ময়মনসিংহ জেলা প্রতিনিধি:
ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলায় পরিবেশ বান্ধব ইকো ব্রিকস্একদল সন্ত্রাসী চাঁদা দাবী, হামলা,যন্ত্র।পাতি ও মেশিনারীজ ভাংচুর, আর্থিক ক্ষতি সাধনের অভিযোগ করেছেন ভুক্ত ভোগী মহল। স্থানীয়ভাবে প্রতিকার চাইলে স্থানীয় মাতাব্বরগন এদের বিরুদ্ধে গিয়ে সামাজিক বিশৃংখলা ও অপমানের ভয়ে অপারগতা প্রকাশ করেন। পরিবেশ বান্ধব ইকো ব্রিকস্ প্রকল্পে চাঁদা দাবী, অতর্কিত হামলা, যন্ত্রপাতি/ মেশিনারীজ ভাংচুর ও আর্থিক ক্ষতি সাধন করায় কতিপয় প্রতারক, অসাধু, দুর্বৃত্ত ও সন্ত্রাসী গং এর বিরুদ্ধে প্রশাসনের বিভিন্ন মহলে অভিযোগ দায়ের করেন ভুক্তভোগী মহল পক্ষ । ত্রিশাল উপজেলাধীন এলাংজানি গ্রামে ২০১০ সালে সংশ্লিষ্ট উদ্যোক্তা কর্তৃক১৫(পনের) বছর মেয়াদে জমি ভাড়া দলিল সম্পাদনের মাধ্যমে ব্যবসায়িক চুক্তি মূলে ইন্টি গ্রেটেড ব্রিকস্ (আইবিসি) প্রতিষ্ঠান,ইট উৎপাদনও বাজারজাত কার্যক্রম শুরু করে । উক্ত এলাকার নালিশী স্থানে পরপর ৫/৬টি ইট ভাটা স্থাপন হওয়ায় ইট ভাটার কালো ধূয়া স্থানীয় জনগন চরমভোগান্তিতে জন জীবনবিপর্যস্ত,স্কুল,কলেজ, মসজিদ- মাদ্রাসা, স্থানীয় বাজার,পরিবেশবাদী সংগঠনের মানব বন্ধনও প্রভাবশালী দের চাপে নিরীহ শান্তি প্রিয় লোক হিসেবে ৭ লক্ষ পুঁড়া ইট,কোটি টাকার মেশিনারীজ,দশ ট্রাক মজুত কয়লা ও মাঠি রেখেই ইট ভাটা বন্ধ রাখতে বাধ্য করা হয়। আইবিসি বন্ধ ইট ভাটা রক্ষিতপুঁড়া ইট,মেশিনারীজ ,মজুত কয়লা স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি লুটপাট ও তছরুপ করার হীন স্বার্থে ২০১৪-১৫ অর্থ বছরে সন্ত্রাসী চক্র উদ্যোক্তার সৎ ভাইকে ওয়ারিশ সৃজন করে রিয়া-ফারর্দিন ইট ভাটা নামে ১(এক) বছরের জন্য ভাড়া চুক্তিনামার মাধ্যমে বেআইনীভাবে ইট ভাটার কার্যক্রম শুরু করায় স্থানীয় নেতৃবৃন্দ, গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, পুলিশ প্রশাসনের উদ্যোগে ত্রিশাল থানা কার্যালয়ে একটি শালিস অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত শালিস দরবারে সর্বসম্মতিক্রমে ১১ সদস্য বিশিষ্ট ১(এক) টি কমিটি গঠন করা হয়। উক্ত কমিটি দ্রুততম সময়ের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের সুপারিশ করা হয়। পরবর্তীতে, পরিবেশ অধিদপ্তর কর্তৃক তা’ বন্ধ ও তাদের উচ্ছেদ করা হয় । বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ন জয়ন্তী উপলক্ষ্যে গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের স্থানীয় সরকার ও সমবায় মন্ত্রনালয় এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ূ পরিবর্তন মন্ত্রনালয়ের মন্ত্রী মহোদয়ের অভিপ্রায় অনুযায়ী বুয়েট ও বাকৃবি’র গবেষকদের পৃষ্টপোষকতায় প্রবাসী উদ্যোক্তা ও স্থানীয় তরুন উদ্যোক্তা এবং ইট ভাটার একক মালিক পক্ষের সমন্বয়ে ১০(দশ) বছর মেয়াদী চুক্তিপত্র দলিল সম্পাদনমূলে নিজস্ব অর্থায়নে স্থপতি জে.আর চৌধুরী স্মরনে (আইবিসি) নামীয় প্রতিষ্ঠানে পরিবেশ বান্ধব ইকো ব্রিকস্ প্রকল্প গ্রহন করা হয়। আইবিসি ইট ভাটাকে স্থপতি জে.আর চৌধুরী পরিবেশ বান্ধব ইকো ব্রিকস্ (প্রস্তাবিত) মডেল প্রকল্প হিসাবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে ইতোমধ্যে প্রায় ১(এক) কোটি টাকা ব্যয়ে বিদেশ হতে ইট তৈরীর যন্ত্রপাতি ও মেশিনারীজ আমদানী ও স্থাপনার কাজ অগ্রসর করেন। অবস্থায় প্রভাবশালী, অসাধু মাটি ও লড়ি ব্যবসায়ী, দুষ্কৃতিকারী ও যোগসাজসে সরকারী নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মোঃ আব্দুল মবিন রঞ্জু (৫৬), মোঃ আঃ মোতালেব, মোঃ উজ্জল, মোঃ রসুল , ওয়াসিমগং ব্যক্তিস্বার্থে সরকারের উন্নয়ন ও অগ্রগতিকে বাঁধাগ্রস্ত করতে পরিবেশ বান্ধব অগ্রাধিকার প্রকল্পকে নসাৎ করার গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়ে উক্ত প্রকল্পে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি/মেশিনারীজ ও সাইনবোর্ড ভাংচুর, ব্যানার ও ফেস্টুন ছিরে ফেলে ১(এক) কোটি টাকা চাঁদা দাবী করে। চাঁদা না দিলে তারা প্রতিষ্ঠানের মালিকদের হত্যা হুমকি প্রদর্শন করে। ইতোপূর্বে আইবিসি ইট ভাটা চলমান অবস্থায় এ কুচুক্রি মহল ইটের গাড়ী লুট, লেবার ও কর্মচারীরদর ভয়-ভীতি প্রদর্শন করে বিতাড়িত করাসহ অত্যাচার নিপীড়ন করে বিপুল পরিমান অর্থের ক্ষতিসাধন করেছে।দুধর্ষ সন্ত্রাসী চক্র আধিপত্য বিস্তার করে অন্যায় ভাবে ইট ভাটায় প্রবেশ করে ক্ষতিসাধন করে ও মালামাল লুট করে।অত্যাচরসহ ফ্যাসাদ সৃষ্টির অংশ হিসেবে হত্যা প্ররোচনায় মালিকের ভাগ্নেকে সুকৌশলে খুন করে। এতেই ক্ষ্যান্ত হয়নি চিরতরে নির্মূল করতে ১(এক) বছর পর আইবিসি ইট ভাটার পাশেই কেয়ারটেকার নিরপরাধ সদর আলীর লাশ অকষ্মাৎ নদীতে ভাসতে দেখা যায়। দুদর্ষ এ ষড়যন্ত্রকারীরা রাজনৈতিক প্রতিহিংসা পরায়ন হয়ে ভাটা মালিকের কোটি কোটি টাকার ক্ষতিসাধন করে গোটা পরিবারকে ধ্বংসেরদিকে নিয়ে যাচ্ছে প্রভাব শালী, সন্ত্রাসী, অসাধু, দুষ্কৃতি কারীর কবল হতে জীবন রক্ষা জানমালের নিরাপত্তা-জেলা প্রশাসনে ম্যাজিষ্টেসি এনফোর্সমেন্ট-এর মাধ্যমে আধিপত্য বিস্তারকারী মেসার্স একতা ব্রিকস্ নামীয় অবৈধ ইট ভাটা বন্ধ করে স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা আরোপও সন্ত্রাসী চক্রের বিরুদ্ধে কার্যকর আইনী পদক্ষেপ গ্রহনে দাবী করে ভুক্তভোগী মহল ।
Like this:
Like Loading...
Related
এ জাতীয় আরো খবর..