লন্ডন থেকে জমির উদ্দিন সুমন:
বিশ্বের স্বল্পোন্নত ৪৭টি দেশ থেকে আমদানিতে শুল্ক সুবিধা অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে যুক্তরাজ্য।এতে দেশগুলোর ব্যবসা-বাণিজ্য প্রসারের মাধ্যমে অর্থনৈতিক উন্নয়নে সহায়তা হবে বলে মনে করে দেশটি।বাংলাদেশ এতে অন্তর্ভূক্ত থাকবে।
যুক্তরাজ্যের আন্তর্জাতিক বাণিজ্য, বৈদেশিক, কমনওয়েলথ ও উন্নয়ন দফতরের মতে, বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় স্বল্প-আয়ের এবং নিন্ম মধ্য-আয়ের দেশগুলো কম শুল্ক থেকে উপকৃত হবে।
গত বছর যুক্তরাজ্য স্বল্পোন্নত এমন দেশগুলো থেকে প্রায় আট বিলিয়ন ডলারের টেক্সটাইল এবং পোশাক পণ্য আমদানি করেছিল। যুক্তরাজ্য সরকার উন্নয়নশীল দেশগুলোকে সহায়তার জন্য এই প্রকল্পটি উন্নত করার পরিকল্পনা নিয়েছে, যা ২০২১ সালে আরও বিস্তৃত করবে।
যুক্তরাজ্যের আন্তর্জাতিক বাণিজ্যবিষয়ক মন্ত্রী লিস ট্রাস ট্রুজ বলেন, যুক্তরাজ্য এখন ইউরোপীয় ইউনিয়নে নেই। ফলে ব্রিটিশ আমদানিকারকরা বিশ্বের দরিদ্রতম দেশগুলোর পোশাক এবং শাকসবজির মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যগুলোয় শূন্য বা হ্রাস শুল্ক প্রদান অব্যাহত রাখবে।
২০১৯ সালে যুক্তরাজ্য ইইউ জিএসপির অন্তর্ভুক্ত দেশগুলো থেকে প্রায় আট বিলিয়ন ডলারের টেক্সটাইল এবং পোশাক পণ্য আমদানি করেছিল। এটি যুক্তরাজ্যে সব টেক্সটাইল এবং পোশাক আমদানির ৩০ শতাংশ।
তিনি বলেন, ‘আমরা অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত দেশগুলো থেকে প্রায় এক বিলিয়ন ডলারের সবজি আমদানি করেছি, যা মোট সবজি আমদানির প্রায় ৮ শতাংশ।’ আন্তর্জাতিক বাণিজ্যবিষয়ক মন্ত্রী বলেন, এসব উদ্যোগ মুক্তবাণিজ্য বৃদ্ধিতে সহায়তা করে, অর্থনীতি বৃদ্ধি করে এবং নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে।
বিবৃতিতে বলা হয়, ব্রিটিশ আমদানিকারকরা বিশ্বের দরিদ্রতম দেশগুলো থেকে পোশাক ও শাকসবজির মতো পণ্যগুলো আমদানির ক্ষেত্রে শূন্য বা কম শুল্কহার দেয়া অব্যাহত রাখবে।
বর্তমানে যেসব দেশ ইউরোপীয় ইউনিয়নের জেনারালাইজড স্কিম অব প্রেফারেন্সের (জিএসপি) আওতায় বাণিজ্য অগ্রাধিকারের জন্য যোগ্য, সেগুলো যুক্তরাজ্যের জিএসপি সুবিধা পাবে বলেও বিবৃতিতে জানানো হয়।
লিজ ট্রাস বলেন, ‘এই পরিকল্পনা ব্রিটিশ ব্যবসায়ীদের ইউরোপীয় ইউনিয়ন ত্যাগ করার পরও তাদের ব্যবসা নির্বিঘ্নে চালিয়ে যেতে সহায়তা করবে। পাশাপাশি ব্রিটিশ গ্রাহকরা সাশ্রয়ী মূল্যে তাদের পছন্দের পণ্য পেতে থাকবে।যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডমিনিক রাব বলেন, ‘বিশ্বব্যাপী উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য যুক্তরাজ্য পছন্দের অংশীদার দেশ।’
‘আজকের ঘোষণায় আমরা বাণিজ্যে উদার দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশ করেছি। এটি অনেক উন্নয়নশীল দেশের বাণিজ্যে বৃহত্তর সমৃদ্ধির পথে স্বীকৃতিস্বরূপ’, বলেন তিনি।