নিজস্ব প্রতিবেদক: ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে হাজারীবাগ থানায় করা যুব মহিলা লীগ নেত্রীর মামলায় ফটো সাংবাদিক শফিকুল ইসলাম কাজলকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুদিনের পুলিশ হেফাজত মঞ্জুর করেছে আদালত।
রোববার কেরানীগঞ্জের কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ভিডিও কনফারেন্সের কাজলকে আদালতে হাজির করে তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির সিরিয়াস ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন টিমের এসআই রাসেল মোল্লা ১০ দিনের হেফাজতের আবেদন করেন।
অন্যদিকে রিমান্ড বাতিল করে কাজলের পক্ষে জামিন চান ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া ও রিপন কুমার বড়ুয়া।
শুনানি শেষে ঢাকার মহানগর হাকিম দেবদাস চন্দ্র অধিকারী কাজলকে দুদিনের হেফাজতে নেওয়ার আদেশ দেন বলে হাজারীবাগ থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা এসআই আশ্রাব আলী জানান।
এরপর ১০ ও ১১ মার্চ রাজধানী হাজারীবাগ ও কামরাঙ্গীরচর থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দুটি মামলা হয়, যার মধ্যে একটির বাদী যুব মহিলা লীগের নেত্রী ইয়াসমিন আরা ওরফে বেলী।
এর আগে ৯ মার্চ শেরে বাংলা নগর থানায় কাজলসহ ৩২ জনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে প্রথম মামলা করেন সরকার দলীয় সাংসদ সাইফুজ্জামান শিখর।
এরপর ১০ মার্চ সন্ধ্যায় রাজধানীর হাতিরপুলের ‘পক্ষকাল’ অফিস থেকে বের হওয়ার পর কাজল নিখোঁজ হন। পরদিন চকবাজার থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন তার স্ত্রী জুলিয়া ফেরদৌসি নয়ন। ১৮ মার্চ রাতে কাজলকে অপহরণ করা হয়েছে অভিযোগ এনে চকবাজার থানায় মামলা করেন তার ছেলে মনোরম পলক।
নিখোঁজের ৫৩ দিন পর ২ মে রাতে ভারতের সাদিপুর থেকে বেনাপোলে প্রবেশের সময় কাজলকে আটক করে বিজিবি। পরদিন অনুপ্রবেশের দায়ে বিজিবির দায়ের করা মামলায় আদালতে সাংবাদিক কাজলের জামিন মঞ্জুর হলেও পরবর্তীতে কোতোয়ালি মডেল থানায় ৫৪ ধারায় অপর সন্দেহভাজন হিসাবে সাধারণ ডায়েরিতে তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।