আলতাফ হোসেন অমি:
রাজধানীর কল্যাণপুরে স্থানীয় যুবলীগ নেতাদের ছত্র ছায়ায় প্রকাশ্যেই চলছে আবাসিক হোটেলের নামে রমরমা মাদক ও দেহব্যবসা।
এসব কর্মকান্ড অনেকটাই ‘ওপেন সিক্রেট’ হলেও পুলিশ বলছে এসবের তথ্য নেই তাদের কাছে।
নিয়ম নীতির কোন বালাই নেই সেখানে, ২৪ ঘন্টার যেকোনো সময় সেখানে ব্যক্তিগত কোনো তথ্য ছাড়াই বুক দেয়া যায় রুম,সুবিধা মতো যে কোন বয়সের মেয়েদের সরবরাহ করে থাকেন হোটেল স্টাফরাই।
তবে অনুসন্ধানে জানা যায়, কল্যাণপুর বাস স্ট্যান্ডে মিজান টাওয়ারে ফ্রেশ উত্তরবঙ্গ আবাসিক হোটেল যা কিনা স্থানীয় ১১নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি জিয়াউল হাসান ও সাধারণ সম্পাদক এস এম কিবরিয়া পিয়াস ধারা পরিচালিত হয়, যার কারনে এলাকাবাসী ও আশপাশের লোকজন বা ভবন কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে কোন পদক্ষেপ নিতে পারছে না।
আরো জানা যায়,ওই হোটেলে যেকোনো বয়সী স্কুল ও কলেজ পড়ুয়া মেয়েদের কালেকশন রয়েছে, পাওয়া যায় বিভিন্ন মডেল তারকাদেরও। চাহিদা মোতাবেক বিল করা খদ্দের তালিকায় থাকা বড়লোকের বিগড়ে যাওয়া সন্তানসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের কাছ থেকে।
সন্ধ্যা ঘনিয়ে রাত নামলেই হোটেলের বিভিন্ন ব্লগে বসে মাদকের আড্ডা, মদ সাপ্লাই এবং হোটেল স্টাফদের সিন্ডিকেটের মাধ্যমেই মরণ নেশা ইয়াবা সরবরাহ করা হয়ে থাকে। রাতভর মদ, ইয়াবা, গাঁজা সেবন ও নারীসঙ্গ দিয়েই রঙ্গলীলায় মেতে থাকে এই হোটেল।
পরিস্থিতি সামাল দেয়া না হলে খুব অল্প বয়সে স্কুল ও কলেজে পড়ুয়া ছাত্র/ছাত্রীরা এবং বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ ও যুব সমাজ ধীরে ধীরে ধ্বংসের পথে পা বাড়াচ্ছে বলেই আশঙ্কা করেছেন এলাকার জনসাধারণ। চলমান পরিস্থিতিতে প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে সাধারণ মানুষের মনে। আরো জানতে চোখ রাখুন ২য় পর্বে…