1. dainiksurjodoy24@gmail.com : admin2020 : TOWHID AHAMMED REZA
  2. editor@surjodoy.com : Daily Surjodoy : Daily Surjodoy
যেভাবে ব্যবসায়ী বন্ধুকে কেটে ৩ টুকরো আসামি রূপম-মনি
রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬:২৬ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
বিএনপি’র বিরুদ্ধে বিএনপি’র সংবাদ সম্মেলন লোহাগড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বদলি আদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে মুক্তিযোদ্ধাদের মানববন্ধন পটিয়ায় একই পরিবারের তিন ভাই’ কে হত্যার হুমকি, থানায় অভিযোগ আগরতলা রেলওয়ে স্টেশন সংলগ্ন এলাকা থেকে দুই মহিলাসহ পাঁচ পুরুষ রোহিঙ্গা নাগরিককে আটক সীতাকুণ্ডে শিপ ইয়ার্ডে বিস্ফোরণ, শরীরের ৮০-৯০ শতাংশ দগ্ধ অবস্থায় ১২ জন চমেককে ভর্তি জনগণ নতুন বাংলাদেশে আইনের শাসনের সাথে বাকস্বাধীনতার নিশ্চয়তা চায় আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের পার্সোনাল এসিস্ট্যান্ট বাবু কয়েক বছরে হয়েছেন শতকোটি টাকার মালিক দক্ষিণ বাকলিয়া ওয়ার্ড যুবদলের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী কর্তৃক উদ্বোধনকৃত ঢেমিরছড়ায় নির্মিত রিটেইনিং ওয়াল ও সড়কের উদ্বোধনী নাম ফলকের পুনঃস্থাপন ফটিকছড়ির সুয়াবিলে বন্যাদুর্গত মানুষের মাঝে খসরুর পক্ষে ত্রাণ বিতরণ

যেভাবে ব্যবসায়ী বন্ধুকে কেটে ৩ টুকরো আসামি রূপম-মনি

  • আপডেট টাইম : সোমবার, ২২ জুন, ২০২০, ১২.২০ পিএম
  • ২৬৯ বার পঠিত

নিজস্ব প্রতিবেদক: টাকার জন্য ব্যবসায়ী হেলাল উদ্দিনকে (২৬) হত্যা করে খণ্ডিত অংশ ঢাকার তিন জায়গায় রাখার আলোচিত ঘটনায় নিহতের বন্ধু চার্লস রূপম সরকারকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ।
রোববার রাতে গাবতলী এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন গোয়েন্দা পুলিশের উপ-কমিশনার মশিউর রহমান। তিনি বলেন, ‘এতদিন সে বগুড়ায় পালিয়ে ছিল বলে জানিয়েছে। এখন সে বরিশালে যাওয়ার পরিকল্পনায় ছিল।’

এর আগে গত ১৮ জুন রূপমের স্ত্রী মনি সরকার ও শাশুড়ি রাশিদা আক্তারকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে হত্যাকাণ্ডের বিস্তারিত জানতে পারে পুলিশ।

রূপমের বন্ধু হেলাল উদ্দিনকে শ্বাসরোধে হত্যার পর তিন টুকরো করে বস্তায় ভরে ঢাকার তিন জায়গায় ফেলে দেওয়ার কথা স্বীকার করে তারা গত শুক্রবার আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন।

পুলিশ জানিয়েছে, আজমপুর মধ্যপাড়া মুক্তিযোদ্ধা মার্কেটের বিকাশ ও মোবাইল বিল পরিশোধের দোকান করতেন হেলাল, থাকতেন দক্ষিণখান এলাকায়। দুই বছর আগে বাংলা লিংকের সিম বিক্রি করার সময় তার পরিচয় হয়েছিল রূপমের সঙ্গে, রূপমও একই কাজ করতেন। সেই যোগাযোগ থেকে এক লাখ টাকা দামের একটি ফটোস্ট্যাট মেশিন কেনার পরিকল্পনা নিয়ে গত ১৪ জুন দুপুরে দক্ষিণখানের মোল্লারটেকে রুপমের বাসায় যান হেলাল। সেখানেই তিনি খুন হন।

‍পুলিশ উপ-কমিশনার মশিউর বলেন, “জিজ্ঞাসাবাদে মনি বলেছে, হেলাল বাসায় যাওয়ার পর তাকে চা খেতে দেওয়া হয়। কিন্তু চায়ের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে দেয় রূপম। চা খাওয়ার পর হেলাল অচেতন হয়ে পড়ে। তখন রূপম ও মনি হেলালকে শ্বাসরোধে হত্যা করে মৃতদেহ বাথরুমে নিয়ে যায়। চাকু ও বটি দিয়ে তিন টুকরা করে বস্তায় ভরে পরদিন সকালে বিভিন্ন স্থানে ফেলে দেয় রূপম।’

তিনি আরও বলেন, হেলালের কাছে বিকাশ ও ফ্লেক্সিলোডের অনেক টাকা রয়েছে এমন ধারণা থেকেই তাকে হত্যার কথা মনি স্বীকার করেছেন। কিন্তু হেলালকে হত্যার পর তার কাছে মাত্র ২৫৩ টাকা পান তারা। পরে তার বিকাশের মোবাইল ফোন থেকে কৌশলে ৪৩ হাজার টাকা তারা উঠিয়ে নেয়।

গোয়েন্দা কর্মকর্তা মশিউর বলেন, হেলালের দেহ কেটে তিন খণ্ড করেন রূপম-মনি দম্পতি। ১৫ জুন তার দুই অংশ দক্ষিণখান ও বিমানবন্দর এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়। পরদিন দক্ষিণখানের একটি খালি প্লট থেকে উদ্ধার করা হয় হেলালের মাথা।

এ ঘটনায় ১৬ জুন হেলালের বড় ভাই মো. হোজায়াফা বাদী হয়ে দক্ষিণখান থানায় অজ্ঞাতপরিচয় কয়েকজনকে আসামি করে মামলা করেন। দুই ভাই ও দুই বোনের মধ্যে হেলাল ছিলেন তৃতীয়। তার মৃতদেহ গ্রামের বাড়ি পিরোজপুরের নেছারাবাদের দইহাড়ি গ্রামে দাফন করা হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..

Comments are closed.

© All rights reserved  2020 Daily Surjodoy
Theme Customized BY CreativeNews