1. admin@surjodoy.com : Main : Admin Main
  2. dainiksurjodoy24@gmail.com : admin2020 : TOWHID AHAMMED REZA
  3. editor@surjodoy.com : Daily Surjodoy : Daily Surjodoy
রংপুর নগরীর দমদমা ব্রিজের নিচ থেকে গ্রেনেড বোমা উদ্ধার
সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৩১ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
ক্যাব প্রস্তাবিত জ্বালানি রূপান্তর নীতি প্রনয়ন,বিদ্যুৎ ও জ্বালানিখাত সংস্কারের দাবিতে স্মারকলিপি প্রদান সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় বাস চাপায় প্রাণ গেল ২ মোটরসাইকেল আরোহীর রাজশাহীতে মিথ্যা চাঁদাবাজির অভিযোগ, প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন নড়াইল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির নিন্ম আদালতে আত্মসমর্পণ জামিন নামঞ্জুর জেল হাজতে প্রেরন ফুলবাড়িতে যথাযথ মর্যাদায় সশস্ত্রবাহিনী দিবস উদযাপিত বাসে উঠাকে কেন্দ্র করে ঢাকা কলেজ ও সিটি কলেজ ছাত্রদের সংঘর্ষে রণক্ষেত্র সাইন্সল্যাব এলাকা আইজিপি হিসেবে নিয়োগ পেলেন বাহারুল আলম পুঠিয়ায় সাথী ক্লিনিককে ১০ হাজার জরিমানা, সাংবাদিকের হুমকি নড়াইলে মদ্যপানে ১স্কুল ছাত্রীর মৃত্যু,আরও ১ জন হাসপাতালে ভর্তি রাজশাহীতে গোপনে মৃত ব্যাক্তির জমি বিক্রয়ের অভিযোগ

রংপুর নগরীর দমদমা ব্রিজের নিচ থেকে গ্রেনেড বোমা উদ্ধার

  • আপডেট টাইম : রবিবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩, ৯.২৫ পিএম
  • ১৪৭ বার পঠিত

রিয়াজুল হক সাগর, রংপুর : 

রংপুরের দমদমা ব্রিজের নিচে ঘাঘট নদ থেকে একটি গ্রেনেড বোমা উদ্ধার হয়েছে। তবে সাম্প্রতিক সময়ের নয় বলে দাবি করছেন স্থানীয় বয়স্ক ব্যক্তিরা। তাদের দাবি এই গ্রেনেড বোমাটি মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ের হতে পারে।

গত শুক্রবার নগরীর দমদমা ব্রিজের নিচ থেকে গ্রেনেড বোমা সাদৃশ্য বস্তুটি উদ্ধার হলেও রোববার সকালে (২৬ ফেব্রুয়ারি) বিষয়টি জানাজানি হয়। এরপর ওই বোমা সাদৃশ্য বস্তুটি সেখানকার কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে রাখা হয়।

ঘাঘট নদ সংলগ্ন পার্শ্ববর্তী তালুক তামপাট মগলেরবাগ এলাকার ভাতের হোটেল ব্যবসায়ী তহমিনা বেগম (৮৫) গ্রেনেড বোমা সাদৃশ্য এই বস্তুটি ঘাঘট নদে পেয়েছেন বলে সাংবাদিকদের কাছে দাবি করেন।

তহমিনা বেগম বলেন, শুক্রবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে গোসল করতে ঘাঘটে গোসল করতে গিয়ে পানিতে নেমে পায়ের নিচে কিছু একটা অনুভব হয়। এরপর হাতে দিয়ে তুলে নিয়ে লোহার বস্তু মনে করে সেটি নিয়ে ভালো করে পরিষ্কার করি। পরে বাজারেরে একটি দোকানে পরিমাপ যন্ত্র হিসেবে ব্যবহার করার জন্য নিয়ে যাই। কিন্তু কিছুক্ষণ পর আমার হাতে থাকা বস্তুটি গরম হতে থাকলে আশেপাশের লোকজন বলছিল এটি গ্রেনেড।

তিনি আরও জানান, আমি আনসারের ট্রেনিংয়ের সময়ে এমন গ্রেনেড বোমা দেখেছিলাম, তাই এটিকে পরবর্তীতে পানিতে রেখে দেই। এরপর ৯৯৯এ ফোন করে বিষয়টি অবগত করলে পুলিশ এসে দেখে সেদিন থেকে পাহারা দিচ্ছে।

বৃদ্ধার মেয়ে শিউলি বেগম বলেন, আমরা তো জানিনা এটা কি জিনিস? যখন মানুষ বললো যে এটা বোমা, তখন আমরা সরকারি নম্বরে ফোন করে ঘটনাটা জানিয়েছি। পুলিশ এসেছে কিন্তু এখনো এটা না নিয়ে যাওয়ায় আমরা শঙ্কিত। শুনেছি এই বোমা বিস্ফোরণ হলে নাকি অনেক ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে।

নব্বই বছর বয়সী স্থানীয় কৃষক মহুবার রহমান বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় হামার এই জায়গায় অনেক গোলাগুলি হইছে। মেলা মানুষও মরচে। খানসেনারা খুব অত্যাচার চালাইছে। হয়তো এই গ্রেনেড বোমাটা সেই সময়ের। এই ব্রিজের পাশোতে দমদমা বধ্যভূমিও আছে। ইয়ার আগোত তো একবার হামার এই দমদমা ব্রিজের নিচ থাকি পুলিশ বোম উদ্ধার করছে। এই ব্রিজের পাশেই দমদমা বধ্যভূমি রয়েছে বলেও জানান তিনি।

গ্রেনেড সাদৃশ্য বস্তু দেখতে আসা ধর্মদাস বারো আউলিয়ার বাসিন্দা তসলিম উদ্দিন বলেন, এখানে তো মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানী সেনারা বৃষ্টির মত গুলি করে মানুষ হত্যা হত্যা করছে। দমদমা ব্রিজটাও ভেঙ্গে দিয়েছিল। আজ লোহার মতো যে বস্তুটা দেখছি এটা যুদ্ধের সময়ের গ্রেনেড হতে পারে।

গ্রেনেড বোমা সাদৃশ্য এই বস্তু সম্পর্কে জানতে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের তাজহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে আমরা বস্তুটি দেখেছি। প্রত্যক্ষদর্শিদের কাছে বর্ণনা শুনে বোমা সাদৃশ্য বস্তু সন্দেহ করছি। তবে আমরা নিজেরাও এখনো নিশ্চিত নই। আমরা সেনাবাহিনীর বোমা ডিস্পোজাল ইউনিটকে খবর দিয়েছি, তারা আসলে বিষয়টি পরিষ্কার হওয়া যাবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..

Comments are closed.

© All rights reserved  2020 Daily Surjodoy
Theme Customized BY CreativeNews