রোস্তম আলী: রংপুর জেলা প্রতিনিধিঃ
রংপুর পীরগঞ্জে বিয়ের দাবিতে ৬ দিন ধরে অবস্থান নেয়া প্রেমিকা ববিতা খাতুনকে অবশেষে বিয়ে করতে বাধ্য হলো প্রেমিক তরিকুল ইসলাম (২৮)। মঙ্গলবার সকালে উভয়ে এ বিয়ে সম্পন্ন করেন পারিবারিকভাবে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার মদনখালী ইউনিয়নের জুনিদের পাড়া (জাফর পাড়া) গ্রামে। এলাকাবাসী ও সদ্য বিবাহিত ববিতা জানায়, প্রায় ৫ বছর ধরে জুনিদের পাড়া গ্রামের রফিকুল ইসলামের পুত্র তরিকুল ইসলাম (২৮) এর সঙ্গে একই উপজেলার শানেরহাট ইউনিয়নের হরিরাম শাহাপুর গ্রামের দিন মজুর ইলিয়াস মিয়ার কন্যা ববিতা খাতুনের প্রেমের সম্পর্ক চলে আসছিল। তারা উভয়েই ঢাকায় গার্মেন্টস্ শ্রমিক হিসেবে কাজ করতো। একই এলাকার সুবাদে দু’জনার মধ্যে পরিচয়। পরিচয় থেকে প্রেম। ঘর বাধার স্বপ্ন ও বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তরিকুল ইসলাম প্রায়ই ওই যুবতীর সঙ্গে দৌহিক সম্পর্ক গড়াত। শুধু তাই নয়, নতুন বাড়ি নির্মাণের প্রলোভনে ওই যুবতীর কাছ থেকে দুই লক্ষ টাকাও হাতিয়ে নেয় তরিকুল। সম্প্রতি তরিকুল ওই যুবতীকে ঢাকায় রেখে তাকে না জানিয়ে বাড়িতে চলে আসে এবং তার সঙ্গে সকল প্রকার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে। এক পর্যায়ে বিয়ের দাবীতে ববিতা গত ১৭ নভেম্বর দুপুরে প্রেমিক তরিকুলের বাড়িতে হাজির হয়। প্রেমিকার উপস্থিতি টের পেয়ে প্রেমিক তরিকুল ইসলাম কৌশলে রাতের অন্ধকারে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যায়। পরদিন সকালে তার মা, বাবাসহ পরিবারের লোকজন ঘরে তালা লাগিয়ে বাড়ি ছেড়ে গা ঢাকা দেয়। ‘বিয়ে নয়তো, আত্মহত্যা’এমন আল্টিমেটাম দিয়ে ববিতা খাতুন প্রেমিক তরিকুলের আপন চাচা রাঙ্গা মিয়ার বাড়িতে অবস্থান নেয়। অবশেষে উভয়ে পারিবারিকভাবে আলোচনা সাপেক্ষে সাড়ে ৩ লক্ষ টাকা দেন মোহর ধার্য করে ‘তরিকুল-ববিতা’র বিয়ে সম্পন্ন হয়।