রেখা মনি নিজস্ব, প্রতিবেদক
করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় সরকার প্রথমে ৫ থেকে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত নানা বিধিনিষেধ আরোপ করে। পরে এ নিষেধাজ্ঞা আরও দুই দিন বাড়িয়ে ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত করা হয়।
এ ৯ দিনে জনগণের চলাচল নিয়ন্ত্রণে সরকারি নির্দেশনাগুলো বাস্তবায়নে রাজপথে তেমন তৎপরতা দেখা যায়নি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর। তবে বাংলা নতুন বছরের প্রথম দিন থেকে শুরু হওয়া কঠোর বিধিনিষেধে দেখা যাচ্ছে গত সপ্তাহের বিপরীত চিত্র। রাস্তায় রাস্তায় পুলিশের চেকপোস্ট।
এই চেকপোস্ট অতিক্রম করে কেউ যেতে পারছেন না। সবাইকে সেখানে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে পার হতে হচ্ছে। এদিন মুভমেন্ট পাস ছাড়া কাউকে চেকপোস্ট অতিক্রম করতে দেখা যায়নি।
করোনা সংক্রমণ রোধে সরকারের ঘোষিত কঠোর বিধিনিষেধ রংপুরে কেউ মানছেন, আবার কেউ মানছেন না। গণপরিবহন বন্ধ থাকলেও রিকশা-অটো রিকশা দাপিয়ে বেড়াচ্ছে সড়কে। অনেকেই চলাফেরা করছে সামাজিক দূরত্ব না মেনে, অনেকে মাস্ক ছাড়া।
অপরদিকে প্রধান সড়কের দোকান পাট বন্ধ থাকলেও অন্যান্য সড়কের পাশের দোকান আংশিক খোলা রেখে বেচাকেনা করতে দেখা গেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিধিনিষেধ মানার জন্য মাইকিং করা হলেও অনেকেই তা আমলে নিচ্ছেন না। গত বছরের মতো পাড়ায়, মহল্লায় বাঁশ দিয়ে প্রবেশ পথ বন্ধ করে লকডাউন লেখা কোথাও দেখা যায়নি। শহরের বিভিন্ন মোড় পুলিশ চেক পোস্ট বসিয়েছেন।
বুধবার দুপুরে নগরীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে জিএল রায় রোড, সিটি বাজার, সেন্টাল রোড, বেতপট্টি মেডিকেল মোড়, মাহিগঞ্জসহ বিভিন্ন এলাকার ব্যবসায়ীরা দোকানের একাংশ খুলে কেনা বেচা করছে। ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলা রেখে ব্যবসা পরিচালনা করছেন।