রেখা মনি, নিজস্ব প্রতিবেদক: ধর্ষণ ও নারীর প্রতি সহিংসতা বন্ধের দাবিতে দ্বিতীয় দিনে জাতীয় ছাত্রসমাজের মিছিলে পুলিশের বাধা নিয়ে তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে নগরীতে। ওই মিছিল থেকে ছাত্র শিবির সন্দেহে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।
বুধবার বিকেলে সাড়ে ৫ টায় ধর্ষণ ও নারীর প্রতি নিপীড়নের প্রতিবাদে নগরীর সেন্ট্রাল রোডস্থ জাতীয় পার্টি কার্যালয় থেকে একটি মিছিল বের করে জাতীয় সমাজ। মিছিলটি গেট দিয়ে বের হওয়া মাত্রই পুলিশ তাতে বাঁধা দেয়।
এ সময় পুলিশের সঙ্গে ছাত্রসমাজের তীব্র বাকবিতণ্ডা শুরু হয় পুলিশ ও মিছিল থেকে শিবির সন্দেহে তিনজনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। এরই মধ্যে পুলিশ ব্যানার ছিঁড়ে ফেললে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।
প্রায় আধা ঘণ্টাব্যাপী পুলিশের সঙ্গে বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে সেখানে উপস্থিত হন মহানগর জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক এসএম ইয়াসির। তিনি আসা মাত্রই পুলিশি বাধা ডিঙ্গিয়ে মিছিলটি পায়রা চত্বরে হয়ে ঘুরে পার্টি অফিসে সমাবেশ করে।
এ সময় বক্তব্য রাখেন মহানগর জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক এসএম ইয়াসির, জেলা জাতীয় ছাত্রসমাজের আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আরিফ, সদস্য সচিব সালিউর রহমান সৈকত, যুগ্ম আহ্বায়ক মুহিন সরকার, শহিদ বাবু, আরিফ হক, সামিউল ইসলাম শুভ, শ্রমিক পার্টির মহানগর সাধারণ সম্পাদক রাজু আহম্মেদ প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, মিছিলে বাঁধা দিয়ে ব্যানার ছিঁড়ে ফেলে পুলিশ প্রমাণ করেছে তারা ধর্ষণের পক্ষে।
জড়িত পুলিশ সদস্যদের শাস্তি দাবি করে বক্তারা বলেন, এখন থেকে প্রতিদিনই রংপুরের প্রতিটি উপজেলা ও পাড়া-মহল্লায় জাতীয় ছাত্রসমাজ ধর্ষণ বিরোধী মিছিল করবে। তারা ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি প্রকাশ্য মৃত্যুদণ্ডের আইন পাশেরও দাবি জানান।