রুস্তম আলী রংপুর জেলা প্রতিনিধি:
রংপুরে পুলিশের কনস্টেবল নিয়োগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর স্বাক্ষর জাল করে ডিও লেটার দেওয়ার ঘটনায় পুলিশসহ চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৮ অক্টোবর) বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে জেলা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ। গ্রেফতারকৃতরা হলেন, গাইবান্ধার সাদুল্লাহ্পুরের ফুলবাড়ী গ্রামের মৃত মোজাম্মেল হকের ছেলে পুলিশ সদস্য মাসুদার রহমান মাসুদ, মিঠাপুকুরের রুপসী গাছুয়াপাড়া গ্রামের মৃত সাইদুল হকের ছেলে মোছাদ্দেক হোসেন (২০), রংপুর সদর কোতোয়ালি থানা এলাকার মহেষপুর গ্রামের নয়া মিয়ার ছেলে আল-আমিন (১৯), একই গ্রামের জিয়াউর রহমানের ছেলে জুয়েল রানা (২৮)।
রংপুর জেলা পুলিশের একটি সূত্রে জানা গেছে, রংপুরসহ দেশব্যাপী পুলিশের কনস্টেবল নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। নিয়োগ পরীক্ষায় সহায়তা ও চাকরি পাইয়ে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে রংপুরসহ আশেপাশের এলাকায় প্রতারক চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে সংক্রিয় ছিল এবং বিভিন্ন সেক্টরে জাল স্বাক্ষরে এ ধরনের চাকুরীর তদবির করতো। এ চক্রটি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর স্বাক্ষর জাল করে জেলা পুলিশকেও ডিও লেটার দেয়। বিষয়টি সন্দেহজনক মনে হলে জেলা গোয়েন্দা বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সহকারী পুলিশ সুপার আশরাফুল আলম পলাশের নেতৃত্বে একটি চৌকস দল অনুসন্ধানে নামেন। গত বুধবার ও বৃহস্পতিবার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে পুলিশ চারজনকে গ্রেফতার করে। এ সময় তাদের কাছ থেকে ব্যবহৃত মোবাইল ফোন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর স্বাক্ষর জাল করা ডিও লেটারসহ ভুয়া কাগজপত্র, ছবি জব্দ করেছে পুলিশ। চক্রটি চাকরিপ্রত্যাশী আল-আমিনকে পুলিশের কনস্টেবল পদে ভর্তির প্রলোভন দেখিয়ে অর্থ হাতিয়ে নেওয়াসহ বিভিন্নভাবে নিয়োগ প্রদানের নিশ্চয়তা দেন। পরে জালিয়াতি এ চক্রের অন্যতম হোতা মাসুদার রহমান মাসুদের কথামতো আল-আমিন ঢাকায় গিয়ে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে থাকা চক্রের অজ্ঞাত সদস্যদের কাছ থেকে একটি খাকি খাম গ্রহণ করেন। এভাবে মাসুদ বিভিন্নজনের সঙ্গে পুলিশে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির স্বাক্ষর জাল প্রতারণা করে আসছিলেন।
গ্রেফতারকৃত চারজনসহ আরও কিছু অজ্ঞাতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণে রংপুর মেট্রোপলিটন কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা রেকর্ড হয়েছে। মামলাটি তদন্তের ভার কোতোয়ালি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আল-আমিনকে দেওয়া হয়েছে।