রংপুরে রিক্সা, ব্যাটারী চালিত রিক্সা, ইজি বাইক চালক সংগ্রাম পরিষদের উদ্যোগে মিছিল, সমাবেশ
রোস্তম আলী: রংপুর জেলা প্রতিনিধিঃ
২৩ জুনÕ২১ বুধবার সকাল ১১টায় রিক্সা, ব্যাটারী চালিত রিক্সা, ইজি বাইক সংগ্রাম পরিষদ রংপুরের উদ্যোগে নগরের শাপলা চত্ত্বর থেকে রিক্সা ও অটো চালকরা রিক্সাযোগে নগরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে স্থানীয় কাচারী বাজারে অটো সংগঠনের নেতা মাইদুল ইসলাম মিলনের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন সংগ্রাম পরিষদের সদস্য গোলাম রব্বানী, পারভেজ, বিপ্লব, সবুজ মিয়া, মনোয়ার হোসেন প্রমুখ।
এছাড়া বাসদ রংপুর জেলা আহবায়ক ও সংগ্রাম পরিষদের উপদেষ্টা কমরেড আব্দুল কুদ্দুস, সদস্য সচিব, মমিনুল ইসলাম, সভা পরিচালনা করেন সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের নগর সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান।
বক্তারা গত ২০ জুলাই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ব্যাটারি চালিত রিক্সা, ভ্যান, ইজি বাইক বন্ধের গণবিরোধী অযৌক্তিক সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা ও ােভ প্রকাশ করেন। বক্তারা আরোও বলেন সারা বিশ্বে করোনা মহামারীতে জীবন-জীবিকা,
দেশের প্রথম দশটি দরিদ্র জেলার মধ্যে রংপুর বিভাগের ৮টি জেলা, এখানে কোনো ভারী শিল্প প্রতিষ্ঠান না থাকায় ব্যাটারি চালিত রিকশা একটি প্রধানতম উপার্জনের মাধ্যম।
এ পেশা বন্ধ হলে ল ল মানুষ নতুন করে বেকার হয়ে যাবে। বাংলাদেশের প্রায় ৮ কোটি মানুষ স্বাস্থ্য ও খাদ্য নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছে এর মধ্যে কারও কর্মজীবন ও অপ্রাতিষ্ঠানিক ৫ কোটি ১৭ লাখ শ্রমিক রয়েছে এদেশের জনগণের খাদ্য নিরাপত্তা নিয়ে রিক্সা-ভ্যান শ্রমিকদের কর্মহীন করার সিদ্ধান্ত সরকারের স্বৈরাচারী আচরণের বহিঃপ্রকাশ।
রিক্সা ব্যাটারি রিক্সা সংগ্রাম পরিষদ বিকল্প কর্মসংস্থান ছাড়া রিক্সা ব্যাটারি রিকশা উচ্ছেদ হয়রানি বন্ধ করে প্রয়োজনে নীতিমালা প্রণয়ন করা, ব্যাটারি চালিত যানবাহন লাইসেন্স প্রদানের বিশেষজ্ঞ নিয়োগ এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সড়ক-মহাসড়কে রিক্সা ইজি বাইক চলাচলের আলাদা লেন সার্ভিস নির্মাণসহ পুলিশি হয়রানি-নির্যাতন বন্ধ ও সর্বত্র তোলাবাজি,
চাঁদাবাজি বন্ধের দাবি করেন। নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, এর সাথে জড়িত তাদের পরিবারের আড়াই কোটি মানুষের জীবন-জীবীকা প্রত্য পরোভাবে যুক্ত দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে, তাই বক্তারা বিশেষজ্ঞের আলোচনা ও মতামতের ভিত্তিতে ব্যাটারি রিক্সা ও ভ্যান সংস্কারের দাবি জানান।
এছাড়া আগামী ১০ জুলাই কেন্দ্রীয় সংগ্রাম পরিষদের ঘোষণামতে রংপুরে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি পেশের কর্মসূচি ঘোষণা করেন। তার আগে জেলা-উপজেলায় গণসংযোগ,
মিছিল-সমাবেশ, প্রচারপত্র বিলি কর্মসূচি ঘোষণা করেন।