রেখা মনি ,রংপুর
রংপুরের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে অজ্ঞাত পার্টির সক্রিয় ৬ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতাররা নগরীর একটি বাড়িতে চারজনকে অজ্ঞাত করে ওই বাড়ি থেকে মালামাল লুট করে নিয়ে যায়।
গ্রেফতাররা হলেন- হাফিজার রহমান (৪৪), মশিয়ার রহমান ভুট্টু (৪৫), লিপি বেগম (২৬), খোরশেদ আলম (১৯), মোঃ রুবেল মিয়া (৩২) ও রাজু মিয়া (৩০)।
শনিবার (১১ জুলাই) সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের কাছে এসব তথ্য জানান রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (অপরাধ) শহিদুল্লাহ কাওছার পিপিএম, ।
তিনি বলেন, গত ৩০ জুন মঙ্গলবার সন্ধ্যার দিকে নগরীর পরশুরাম থানাধীন কোবারু ডাক্তারপাড়া গ্রামের মিজানুর রহমানের বাড়িতে অজ্ঞান পার্টির সদস্যরা প্রবেশ করে। ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী গাইবান্ধায় হাফিজার রহমান তার অন্যান্য সহযোগীদের নিয়ে ওই বাড়িতে গোপনে অবস্থা করে। এসময় তারাপরিকল্পনা অনুযায়ীচেতনা নাশকওষুধের গুড়া খাবারের সাথে মিশিয়ে দেয়। রাতে খাবার খেয়ে বাড়ির চারজন লোক অজ্ঞান হয়ে পড়লে গভীর রাতে টাকা, স্বর্ণালংকার ও মোবাইল ফোন চুরি করে নিয়ে যায় অজ্ঞান পার্টির সদস্যরা।
অফিসার ইনচার্জ মোহছে-উল গনি জানান, এঘটনার প্রেক্ষিতে পরশুরাম থানায় মামলায় দায়ের হলে পুলিশ রহস্য উদঘাটনে তৎপরতা চালায়। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে জড়িত অজ্ঞাতনামা আসামিদেরকে শনাক্ত করে তাদের গ্রেফতারে রংপুর ও গাইবান্ধা জেলার বিভিন্ন জায়গায় অভিযান পরিচালনা করেন।
গতকাল শুক্রবার (১০ জুলাই) রাতে গাইবান্ধার বেড়াডাঙ্গা গ্রামের মৃত আব্দুল বাকীর ছেলে অজ্ঞান পার্টির মূলহোতা হাফিজার রহমানকে গ্রেফতার করা হয়। ব্যাপকভাবে জিজ্ঞাসাবাদে সে ঘটনার সাথে জড়িত অন্যদের নাম ঠিকানা প্রকাশ করে।
পরে নগরীর কচুটারী হতে মশিয়ার রহমান ভুট্টু, তার স্ত্রী লিপি বেগম ও খোরশেদ আলমকে, নিউ জুম্মাপাড়া থেকে রুবেল মিয়া এবং গঙ্গাচড়ার জয়দেব মনাষপাড়া হতে রাজু মিয়াকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের কাছ থেকে চোরাই এগারটি মোবাইল ফোন, স্বর্ণালংকার, চোরাইকাজে ব্যবহৃত লোহার সাবল ও চেতনানাশক ওষুধ উদ্ধার পূর্বক জব্দ করা হয়।
প্রতারক এই চক্রটি দীর্ঘদিন যাবত বিভিন্ন এলাকায় বাসা বাড়িতে চেতনা নাশক ওষুধের মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে অজ্ঞান করে বিভিন্ন ধরণের অপরাধ করে আসছে। এই ঘটনার সাথে জড়িত অন্যান্য আসামীদের শনাক্ত করে গ্রেফতারের জোর চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান আরপিএমপি’র ওই পুলিশ কর্মকর্তা।