রোস্তম আলী: রংপুর
রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার কাঁচা-পাকা রাস্তা-ঘাট নষ্ট করেই চলেছে নম্বর বিহীন ট্রাক্টর। এছাড়া, এসব ট্রাক্টর প্রতিনিয়ত চলাচলের ফলে একদিকে যেমন রাস্তায় দূর্ঘটনা ঘটছে অহরহ। গত ৬ মাসে ট্রাক্টরের নিচে চাপা পড়ে অন্তত ৮ ব্যক্তি প্রাণ হারিয়েছে, আহত হয়েছে অর্ধশত। অন্যদিকে, বালি ও ইট না ঢেকেই পরিবহন করায় পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। এলাকাবাসী এ থেকে নিস্কৃতি পেতে প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন। অভিযোগে প্রকাশ, ট্রাক্টর মালিকরা প্রভাবশালী হওয়ায় কোন কিছুর তোয়াক্কা করছে না। স্থানীয় প্রশাসন বিষয়টি অবগত থাকলেও কোন কার্যকর ব্যবস্থা নিচ্ছে না রহস্যজনক কারণে। আর এ সুযোগে নম্বর না থাকলেও প্রশাসনের নাকের ডগার উপর দিয়ে এগুলো চলাচল করছে প্রতিনিয়ত। খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, ট্রাক্টরগুলোর কোন মনিটরিং নেই। এজন্য প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটলেও মনিটরিং না থাকার কারণে দিনের পর দিন এগুলোর দৌরাত্ম বেড়েই চলেছে। কারণ হিসেবে দেখা গেছে, অদক্ষ ও অপ্রাপ্ত বয়স্কদের দিয়ে স্বল্প খরচে এসব ট্রাক্টর চালাচ্ছেন মালিকরা। যে কারণে দুর্ঘটনার হার বেশী। অভিযোগে আরও প্রকাশ, কাঁচা-পাকা রাস্তার যে কোন পার্শ্ব কেটে দিয়ে মাঠে নামানো হয় ট্রাক্টর। কিন্তু কাজ শেষ হওয়ার পর কেটে দেয়া স্থানটি তারা মেরামত করে দিচ্ছেন না। ফলে ধীরে ধীরে ওই কাটা জায়গা ভেঙ্গে গিয়ে বড় ধরনের গর্তে পরিণত হচ্ছে। এক সময় পুরো রাস্তাই ভেঙ্গে গিয়ে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ছে। প্রশিক্ষণ বিষয়ে জানতে চাইলে ১৫ বছর বয়সী ট্রলী চালক রফিক বলে-আমি কয়েকদিন ড্রাইভারের পাশে থেকে চালানো শিখেছি। এখন নিয়মিতভাবে গাড়ি চালাই। পীরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সরেস চন্দ্র জানান, আমি যোগদানের পর থেকে মালিক ও ড্রাইভার নিয়ে কয়েকটি সেমিনার করেছি। এতে বলা ছিল চোখে ঘুম এবং গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে ধীরগতিতে গাড়ি চালানোর কথা বলা হয়েছে। শিশুদের দিয়ে গাড়ি চালানো একেবারে নিষেধ করা হলেও তা কেউই মানছে না।