আজ রোববার রাণীশংকৈল ইউএনও কার্যালয় চত্বরে বাচোর ইউনিয়নের ভাংবাড়ী এলাকাবাসির আয়োজনে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করা হয়।
এর আগে ভাংবাড়ী থেকে রাণীশংকৈল ইউএনও কার্যালয় পর্যন্ত প্রায় ৫ কিলোমিটার পথ পায়ে হেঁটে ওই গ্রামের ২ শতাধিক লোক কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেয়। পরে নির্যাতনকারীদের গ্রেফতারের দাবিতে একটি স্বারকলিপি ইউএনও ও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে প্রদান করে।
মানববন্ধনে ওই এলাকার সাধারণ মানুষ অভিযোগ করে বলেন যে, নির্যাতনকারী মহিলাকে শুধু গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি আরো ৪ জন আসামি এলাকায় বুক ফুলিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। ১ নং আসামি গ্রেফতার না হওয়ায় যারা ঘটনার সাক্ষী তাদেরকে হুমকী দেওয়া হচ্ছে। বাকি আসামিরা নাসিরুলের প্রতিবেশিদের ফোনে বিভিন্ন রকম হুমকী দিচ্ছে। তাই যত দ্রুত সম্ভব সকল আসামিকে গ্রেফতার করে দৃষ্ঠান্তমূলক শাস্থির দাবি জানান এলাকাবাসী।
স্বারকলিপি গ্রহণের সময় রাণীশংকৈল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদ ইকবাল বলেন, ছেলের বাবা বাদী হয়ে ৫ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। সেই মামলার প্রেক্ষিতে ২নং আসামি মেয়ের মা সেলিনা আক্তারকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেফতারের জন্য পুলিশ অভিযান পরিচালনা করছে। খুব দ্রুতই বাকি আসামিদের গ্রেফতার করা হবে। আর কেও হুমকি দিলে বা ভয়ভিতি দেখালে আমাকে জানাবেন তাদের বিরুদ্ধেও ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, রাণীশংকৈল বাচোর ইউনিয়নের ভাংবাড়ী গ্রামের করিমুল ইসলামের মেয়ে কেয়া মনিকে (১৮) প্রেম করে বিয়ে করে একই গ্রামের খলিলুর রহমানের ছেলে নাসিরুল ইসলাম (২১)। পরে তারা দুজনেই ঢাকায় পালিয়ে যায়। বিয়ে মেনে নেওয়ার শর্তে তাদেরকে ঢাকা থেকে নিয়ে আসা হয়। তার পরে ছেলে মেয়েকে আলাদা রাখা হয়।
নির্যাতনের ভিডিও দেখে এলাকাবাসী ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে আর এই অমানবীক ঘটনার দ্রুত দৃষ্টান্তমূলক শাস্থির দাবি জানান। আসামিদের দ্রুত আইনের আওতায় না আনা হলে আরো বড় আন্দোলনের হুমকী দেয় এলাকাবাসী।