আলী আজগর পনির নেত্রকোনাজেলা প্রতিনিধিঃ
নেত্রকোনার মদন উপজেলার কাইটাইল ইউনিয়নের খাগুরিয়া গ্রামের আশাদুল(৩৫) নামের এক যুবককে গত ৮ নভেম্বর রাতের আধারে মুঠোফোনে ডেকে নিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে মাথায় আঘাত করলে গুরুতর জখম হয় । আজ ১৯ নভেম্বর ঢাকা মুক্তিযোদ্ধা মেডিকেল কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
মৃত আশাদুল কাইটাইল ইউনিয়নের খাগুড়িয়া গ্রামের আলতু মিয়ার ছেলে।আশাদুলের মা ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, গত ৮ নভেম্বর আশাদুল তার মাকে রাতের খাবার দিতে বললে মায়ের অসুস্থতার জনিত কারণে আশাদুল কে মা বলেন, খাবার নিজের হাতে নিয়ে খাওয়ার জন্য । আশাদুল খাবার খাওয়ার পর রাত ১১ ঘটিকার সময় আশাদুলের মোবাইল ফোনে একটা কল আসলে আশাদুল ঘর থেকে বাহির হয়ে চলে যায় ।
প্রতিবেশী জুয়েলের মা আনোয়ারা বেগম বলেন,আনুমানিক রাত ১ টা ২০ মিনিটের সময় আমি দেখতে পাই আসশাদুল রক্তাক্ত অবস্থায় আমাদের দুই ঘরের মাঝের ফাঁকা জায়গায় কে বা কারা মোবাইলের আলো জ্বালিয়ে আশাদুল কে ধরে রেখেছে ।
জুয়েলের মা আনোয়ারা কাছে গেলে মোবাইলের আলো বন্ধ করে চলে যায়। এমন সময় জুয়েলের মা দেখতে পান আশাদুল অজ্ঞান হয়ে পড়ে আছে। প্রতিবেশী জুয়েলের মা আনোয়ারা বেগম , আশাদুলের মাকে ডাকার পর , আশাদুলের মায়ের ডাক চিৎকারে প্রতিবেশী এলাকার লোকজন আসলে স্বজনেরা মদন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত ডাক্তার উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মুক্তিযুদ্ধা মেডিকেল কমপ্লেক্সে প্রেরণ করেন , দীর্ঘ ১২ দিন চিকিৎসা চলাকালীন অবস্থায় আজ তার মৃত্যু হয়।
আশাদুলের চাচাতো ভাই জাকারুল জানান, আমার ভাইয়ের চিৎকার শুনেছি আমাকে মেরে ফেলেছে এইশব্দ টুকু শুনেছি আমি। এরপর ঘর থেকে বের হয়ে দেখি জুয়েল ও তার ভাই মজিবর আশাদুল কে ধরে দাঁড়িয়ে আছে। মা প্রতিবেশীরা এসে বাস্তব ঘটনা দেখতে পান।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে, মদন থানা অফিসার ইনচার্জ ফেরদৌস আলম বলেন , থানায় অজ্ঞাত নামা মামলা হয়েছে, সন্দেহভাজন এই মামলায় আপুস মিয়ার ছেলে জুয়েলকে আটক করা হয়েছে, সে এখন জেলহাজতে রয়েছে, তদন্ত অব্যাহত আছে।
Like this:
Like Loading...
Related
এ জাতীয় আরো খবর..