লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি:
লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলাধীন উত্তর চরবংশী ইউনিয়নের চর ইন্দুরিয়া গ্রামের আদম আলী মাঝির ছেলে মোহন মাঝি’কে(৫৫) ধর্ষণ চেষ্টার মামলায় বৃহস্পতিবার (২৪অক্টোবর) গ্রেফতার করেন রায়পুর থানা পুলিশ।
মামলার সূত্র জানা যায়,বাদী দিনিয়া বেগমের স্বামী খোরশেদ আলম গত বৃহস্পতিবার (২২ অক্টোবর) আনুমানিক রাত ১২ টার সময় নদীতে মাছ শিকারে গেলে মোহন মাঝি সুযোগ বুঝে তার ঘরে ডুকে ধর্ষণ চেষ্টা চালায়।একপর্যায়ে খোরশেদের স্ত্রীর আর্তচিৎকারে আশপাশের মানুষজন ছুটে এসে মোহন মাঝিকে ঘটনাস্থল থেকে আটক করে এবং পরবর্তীতে মীমাংসা করবে বলে সকলে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।
তবে মোহন মাঝির স্বজনদের দাবি উল্টো,মাছ শিকারের কাজের জন্যে গত কয়েকমাস আগেই মৌখিকভাবে চুক্তি করে মোহন মাঝি থেকে প্রায় ২২ হাজার টাকা এডভান্সড নেন একই ইউনিয়নের জেলে খোরশেদ(৫০) আলম।চুক্তি অনুযায়ী কাজ করে পরিশোধ করবেন এডভান্সড নেওয়া টাকাগুলো।কিন্তু দুয়েক মাস যেতেই না যেতেই কাজ ছেড়ে দিয়ে অন্যত্র কাজ করতে চলে যান খোরশেদ আলম।এনিয়ে কয়েকবার খোরশেদ আলমের সাথে মোহন মাঝির কথা কাটাকাটি হয়।নানান অজুহাত দেখিয়ে টাকা না দেওয়ার ফন্দি করেন খোরশেদ আলম।গত কয়েকদিন আগে খোরশেদ তার নিজের ব্যাবহৃত মোবাইল ফোনটি বাড়িতে রেখে অন্যত্র চলে যায়।
একপর্যায়ে মোহন মাঝি পাওনা টাকার জন্যে গত বুধবার (২১অক্টোবর) খোরশেদের মোবাইলে কল দিলে খোরশেদের স্ত্রী দিনিয়া(৩৫) বেগম কল রিসিভ করেন।দিনিয়া টাকার জন্যে তার বাড়ীতে যাওয়ার অনুরোধ করলে মোহন মাঝি সহজ সরল মনে আনুমানিক সময় রাত ১১টায় খোরশেদের বাড়িতে চলে যায়।দিনিয়া ও তার বোন ছালমা(২৩) পাওনা টাকা না দেওয়ার জন্যে ধর্ষণ চেষ্টার নাটক সাজায়।তারা পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী ওৎ ফেতে থেকে ধর্ষণ চেষ্টার নাটক সাজানোর জন্যে।সুযোগ বুজে তারা মোহন মাঝিকে আটকানোর চেষ্টা করেন।কোনো রকমভাবে উপায়ন্তর না পেয়ে সেখান থেকে মোহন মাঝি নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যায়।
গত বৃহস্পতিবার (২৪অক্টোবর) রায়পুর থানার পুলিশ সালিশের কথা বলে ডেকে নিয়ে যায় মোহন মাঝিকে।পরে জানতে পারি মামলা করে থানায় আটকে রেখে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।
এনিয়ে মামলার বাদী দিনিয়া বলেন, আমার স্বামী খোরশেদ আলম কাজের উদ্দ্যেশে নদীতে মাছ শিকার করতে গেলে আমাকে একা পেয়ে মোহন ধর্ষণের চেষ্টা চালায়।পরে আমার চিৎকার শুনে আশেপাশের লোকজন আশে।স্থানীয় সালিসদাররা কোনো ব্যাবস্থা না নেওয়ায় থানায় মামলা করি।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সাব-ইন্সপেক্টর আব্দুল কুদ্দুস বলেন,মামলা হয়েছে,আসামীকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরন করা হয়।আদালত তাকে কারাগারে প্রেরন করেন।
Like this:
Like Loading...
Related
এ জাতীয় আরো খবর..