ডেস্ক : বিতর্কিত লাদাখ সীমান্তের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার (এলএসি) আশপাশে প্রায় এক হাজার বর্গ কিলোমিটার এলাকা এখন চীনের নিয়ন্ত্রণে আছে। ভারতীয় একটি গোয়েন্দা সংস্থা কেন্দ্রীয় সরকারকে এই তথ্য জানিয়েছে বলে দেশটির ইংরেজি দৈনিক দ্য হিন্দু খবর দিয়েছে।
হিন্দু বলছে, চলতি বছরের এপ্রিল-মে থেকেই চীন প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার আশপাশে সৈন্য সমাবেশ এবং সামরিক উপস্থিতির মাধ্যমে শক্তি মজবুত করছে। গত ১৫ জুন লাদাখের পূর্বাঞ্চলের গালওয়ান উপত্যকায় চীনের পিপলস লিবারের আর্মির (পিএলএ) সৈন্যদের সঙ্গে সহিংস সংঘাতে অন্তত ২০ ভারতীয় সেনা নিহত হয়।
দেশটির সরকারি এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা দ্য হিন্দুকে বলেছেন, দেপসাং সমতল এলাকা থেকে চুশুল পর্যন্ত অমীমাংসিত সীমান্তে পরিকল্পিতভাবে সৈন্য সমাবেশ করেছে চীন। এই কর্মকর্তা বলেন, দেপসাং সমভূমির টহল পয়েন্ট ১০ থেকে ১৩ পর্যন্ত এলাকা নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে চীন। এই এলাকা পরিমাণ প্রায় ৯০০ বর্গ কিলোমিটার হতে পারে ধারণা করছে ভারত।
তিনি বলেন, গালওয়ান উপত্যকায় প্রায় ২০ বর্গ কিলোমিটার এবং হট স্প্রিংস এলাকায় ১২ বর্গ কিলোমিটার এলাকা চীনের দখলে আছে। প্যাংগং সো লেকের কাছে ৬৫ বর্গ কিলোমিটার এবং চুশুলে ২০ বর্গ কিলোমিটার চীনের নিয়ন্ত্রণে আছে।
দ্য হিন্দু বলছে, প্যাংগং সো লেকের কাছে ফিঙ্গার ৪ থেকে ৮ নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে চীনের সামরিক বাহিনী। ফিঙ্গার ৪ থেকে ৮ এর পার্বত্য এই এলাকার পরিমাণ প্রায় ৮ কিলোমিটার।
গত কয়েক মাস ধরে সামরিক ও কূটনৈতিক পর্যায়ে দফায় দফায় আলোচনা সত্ত্বেও চীন সীমান্তের এই উত্তেজনা এখনও অব্যাহত রয়েছে। গত ৫ জুলাই দুই দেশের বিশেষ প্রতিনিধি; চীনের ওয়াং ই এবং ভারতের অজিত দোভাল সীমান্ত বিরোধের সমাধানের উপায় নিয়ে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা করেন।
তারপর সেখানে উভয় দেশের সামরিক বাহিনী আংশিক পিছু হটলেও গত কয়েকদিন ধরে এই অঞ্চলে নতুন করে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। লাদাখের বিতর্কিত এলাকার মালিকানা নিয়ে গত মে মাস থেকে পারমাণবিক অস্ত্রধারী দুই প্রতিবেশির মাঝে উত্তেজনা তৈরি হয়। এই সীমান্তের বিভিন্ন এলাকা নিজেদের বলে উভয় দেশই দাবি করে থাকে।