রাজশাহী ব্যুরোচীফ
নাটোরের লালপুর উপজেলার ৮নং দুড়দুড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তোফাজ্জল হোসেন তোফার বিরুদ্ধে সাংবাদিককে প্রকাশ্যে,দিবালোকে,উপস্থিত জন সাধারনের সামনে বিভিন্ন ধরনের ভয়-ভীতি ও প্রাণ নাশের হুমকি ধামকি সহ সাংবাদিকের মান-সন্মান নিয়ে টানা হেঁচড়া এবং সন্মান হানির ঘটনায় নাটোর আদালতে মামলা হয়েছে।
সোমবার(৬ই মার্চ-২৩)সকালে জাতীয় ও ডিএফপি মিডিয়া ভুক্ত দৈনিক আশ্রয় প্রতিদিন পত্রিকার লালপুর উপজেলা প্রতিনিধি মেহেরুল ইসলাম বাদী হয়ে নাটোরের বিজ্ঞ আমলী আদালতে দঃবিঃ৫০০/৫০৫/৫০৫(ক)/৫০৬(।।)৪৯৯/৫০৮/৫০১/৫০৪/৫০২/৫০৩/৫০৬ ধরায় মামলা দায়ের করেছেন বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে বাদী মেহেরুল ইসলাম বলেন,আমি একজন পল্লী চিকিৎসক পাশাপাশি সাংবাদিকতা করি।আমি গত ১১ই ফেব্রুয়ারী-২৩ ইং তারিখে দুড়দুড়িয়া ইউনিয়নের গন্ডবিল(কালুপাড়া) এলাকার একটি মাটির রাস্তায় ভেকু মেশিন দিয়ে রাস্তা কেটে দিচ্ছে মর্মে স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে আমি সহ ৩ জন সংবাদ কর্মী সেখানে উপস্থিত হওয়া মাত্রই অত্র ইউনিয়নের চেয়ারম্যান তোফাজ্জল হোসেন তোফা আমাকে এ ঘটনা ঘটায়।পরে বিষয়টি লালপুর থানার ওসিকে জানালে তিনি ইউএনও অফিসে অভিযোগ দিতে বলে।পরের দিন ১২ই ফেব্রুয়ারীতে ইউএনও অফিসে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে বিভিন্ন পত্রপত্রিকা,ফেসবুক সহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর প্রকাশ করা হলেও ৪ঠা মার্চ পর্যন্ত কোন আইনী ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হয়নি।
বাদী মেহেরুল ইসলাম অনুতপ্ত হয়ে আরো বলেন,চেয়ারম্যান তোফা আমার নামে উল্টো চাঁদাবাজির মামলা দিয়ে নাকি আমাকে জব্দ করবে বলে পাঁয়তারা করছে।
তিনি আরো বলেন,ইউএনও অফিসে অভিযোগ সহ বিভিন্ন পত্রিকা ও গণমাধ্যম খবরটি প্রকাশিত হলেও কোন আইনী ব্যবস্থা না হওয়ায় আমার সাংবাদিকতা ও পল্লী চিকিৎসার ক্ষেত্রে মান-সন্মানের হানি ঘটেছে। যা ১০ কোটি টাকা টাকার বিনিময়েও এ সন্মান ফিরে আনা সম্ভব হবে না। এরই ধারাবাহিকতায় আমি সকল পত্র-পত্রিকা ও গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরগুলোর ডকুমেন্টস আদালতে দাখিল করে মানহানির মামলা দায়ের করতে বাধ্য হয়েছি।মামলা নং ৬৩ সি/২৩ লাল।
বাদী পক্ষে আইনজীবী হিসেবে মামলা পরিচালনা করেন সিনিয়র এডভোকেট আলেক শেখ।
উল্লেখ্য যে,বিজ্ঞ আদালত তৎক্ষনাৎ মামলাটি আমলে নিয়ে লালপুর থানার ওসিকে তদন্তের আদেশ দিয়ে আগামী ৭/৫/২০২৩ ইং তারিখে দিন ধার্য্য করেছেন।