লালমনিরহাট প্রতিনিধি.
লালমনিরহাটের বুড়িমারীতে কোরআন অবমাননার গুজব ছড়িয়ে গণপিটুনিতে শহিদুন্নবী জুয়েল হত্যা ও লাশ পোড়ানোর ঘটনার মামলায় আরও ৪ জনের প্রত্যেককে ২ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত।
রোববার দুপুরে লালমনিরহাটের সিনিয়র জুডিশিয়াল (আমলি আদালত-৩) এর ম্যাজিস্ট্রেট ফেরদৌসি বেগম এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে লালমনিরহাট ডিবি পুলিশের পক্ষ থেকে আদালতে ৪ জনেরই ৩ দিন করে রিমান্ড চেয়ে আবেদন করে। এতে আদালত তাদের ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে।
গতকাল শনিবার ভোরে আরো ৪ জনকে গ্রেফতার করে লালমনিরহাট ডিবি পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা হলেন−মো. মোতাহার হোসেন, মো. আমির হোসেন, মো. বিপ্লব হোসেন ওরফে লিমন ও মো. আতিয়ার রহমান ওরফে পাইয়া।
শহিদুন্নবী জুয়েলকে হত্যার মামলার ঘটনায় এ নিয়ে ৩ মামলায় ১১৪ জন নামীয় ও অজ্ঞাত শত শত আসামির মধ্যে মোট ৪৪ জন আসামিকে গ্রেফতার করে লালমনিরহাট ডিবি পুলিশ। আটককৃতদের মধ্যে ১৯ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডে নেয় লালমনিরহাট ডিবি পুলিশ।
গত ২৯ অক্টোবর বিকেলে পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারী বাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে কোরআন অবমাননার গুজব ছড়িয়ে শহিদুন্নবী জুয়েলকে পিটিয়ে হত্যার পর মরদেহ পুড়িয়ে ফেলা হয়। এ ঘটনায় নিহতের চাচাতো ভাই সাইফুল ইসলাম বাদী হয়ে শনিবার একটি মামলা করেন। এরপর বিভিন্ন সময়ে মোট ৪০ জনকে গ্রেফতার করা হয় এবং ১৫ জনকে রিমান্ডে নেয় পুলিশ। আর রবিবার গ্রেফতারকৃত আরও ৪ আসামির বিরুদ্ধে ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত। গ্রেফতার আসামিরা সবাই বুড়িমারী এলাকার বাসিন্দা।
নিহত আবু ইউনুস মো. শহীদুন্নবী জুয়েল রংপুর শহরের শালবন মিস্ত্রীপাড়া এলাকার আব্দুল ওয়াজেদ মিয়ার ছেলে। গত ২৯ অক্টোবর বিকেলে সুলতান রুবায়াত সুমন নামে এক সঙ্গীসহ বুড়িমারী বেড়াতে আসেন তিনি। ওই দিন বুড়িমারী বাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে কোরআন অবমাননার গুজব ছড়িয়ে শহিদুন্নবী জুয়েলকে পিটিয়ে নৃশংসভাবে হত্যার পর তার মরদেহ পুড়িয়ে দেয় উত্তেজিত জনতা।
কিন্তু পরে জানা যায়, জুয়েল ছিলেন ধার্মিক এবং নিয়মিত মসজিদে নামাজ আদায় করতেন। তিনি রংপুর ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজের সাবেক লাইব্রেরিয়ান ছিলেন। মানসিক ভারসাম্যহীনতার কারণে তার চাকরি চলে যায়।
Like this:
Like Loading...
Related
এ জাতীয় আরো খবর..