1. admin@surjodoy.com : Main : Admin Main
  2. dainiksurjodoy24@gmail.com : admin2020 : TOWHID AHAMMED REZA
  3. editor@surjodoy.com : Daily Surjodoy : Daily Surjodoy
শার্শায় শিশু সন্তানের জন্য দুধ কিনতে কর্মহীন সিএনজিচালক বাবার কান্না
বুধবার, ০৭ মে ২০২৫, ১২:০৬ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
কসবায় বিএসএফের এলোপাথাড়ি গুলিতে বাংলাদেশি যুবক নিহত! চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে ৩ হাজার পিস ইয়াবা সহ আটক ১ঃ মাদক পরিবহনে নিয়োজিত মোটর সাইকল জব্দ ট্রেনঃ পৃথিবীর সবচেয়ে আন্ডাররেটেড ঘাতকের রহস্য এবং “হ্যাবিচুয়াল কনফিডেন্স” চট্টগ্রামে ১৪ পিছ বিদেশী স্বর্নের বার সহ আটক ১ সাবেক ইসকন নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে ছেড়ে দিয়েছে আদালত আওয়ামীলিগের সময়ে আওয়ামীলিগের নেতা , বিএনপির সময়ে বিএনপির নেতা সেজে প্রভাব বিস্তার করার চেষ্টা ! নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে এলজিইডি কুমিল্লার মতবিনিময় কলেজ ছাত্র আব্দুল আলীম হত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন ! সাভারে বিরুলিয়ায় নিহত নারী ছিলেন অন্তঃসত্ত্বা : স্বামী গ্রেফতার । ফেসবুকে মানহানিকর লেখা প্রচারের অভিযোগ এনে এক কোটি টাকার মানহানি এবং হত্যা চেষ্টার মামলা দায়ের করা হয়েছে।

শার্শায় শিশু সন্তানের জন্য দুধ কিনতে কর্মহীন সিএনজিচালক বাবার কান্না

  • আপডেট টাইম : শুক্রবার, ৯ জুলাই, ২০২১, ৭.২১ পিএম
  • ১৭৪ বার পঠিত
শার্শায় শিশু সন্তানের জন্য দুধ কিনতে কর্মহীন সিএনজিচালক বাবার কান্না
রফিকুল ইসলাম বেনাপোল:কঠোর লকডাউনে বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের হচ্ছে না মানুষ। সিএনজিচালক শাহ আলম বাইরে বের হয়েছেন একান্ত বাধ্য হয়ে। লকডাউনে কর্মহীন এই ব্যক্তি ২২ দিনের শিশু সন্তানের জন্য দুধ কেনার টাকা জোগাড় করতে হন্যে হয়ে ঘুরছেন। শিশু সন্তানের মুখে খাবার তুলে দিতে এই বাবার কান্না সবাইকে ছুঁয়ে গেছে।
শাহ আলম যশোরের শার্শা উপজেলার নিজামপুর বাজারে পরিবার নিয়ে থাকেন। লকডাউনের আগে সিএনজি চালাতেন। এতে তার যা আয় হতো তা দিয়েই পরিবারের সদস্যদের মুখে দু’বেলা আহার তুলে দিতেন। লকডাউনের কারণে তার আয় বন্ধ। এখন দুধের শিশুর জন্য তার দুধ কেনার টাকাও নেই। শুধু শাহ আলম একা নয়.এরকম শতশত কর্মহীন শাহ আলম অনাহারে কষ্টে জীবন যাপন করছে।
বুধবার (৭ জুলাই) সকাল ১০টার দিকে উপজেলার নিজামপুর বাজারে শাহ আলম কান্না করতে করতে বলেন, ‘আমি একজন সিএনজিচালক। পরিবারে আমিই আয়ের একমাত্র ব্যক্তি। আমার চার সন্তান ও স্ত্রীকে নিয়ে ছয় সদস্যের সংসার। দীর্ঘদিন আয়ের পথ বন্ধ থাকলেও থেমে নেই সংসারের খরচ। সরকারের ডাকা লকডাউনে গত ২৩ জুন থেকে সড়কে গাড়ি চালানো নিষেধ করা হয়। এরপর থেকে আর গাড়ি চালাতে পারিনি।’
‘ফলে ২৩ জুন থেকে আমার আয়ের পথ বন্ধ হয়ে যায়। এখন আমি সংসারের ব্যয় চালাতে ব্যর্থ। কয়েক দিন এর ওর কাছ থেকে ধার করে বাজার করলেও এখন আর তাও পারছি না।’
সিএনজিচালক শাহ আলম বলেন, ‘ঘরে আমার ২২ দিন বয়সের একটা সন্তান রয়েছে, যার দুদিন পর পর ২৫০ টাকা দিয়ে দুধ কিনে খাওয়াতে হয়। কিন্তু বর্তমান আমার কর্ম না থাকায় আমি ব্যর্থ। অনেকের কাছে টাকা ধার চেয়েছি কিন্তু কেউ আমাকে সহযোগিতা করেনি। মেম্বার ও চেয়ারম্যানদের পক্ষ থেকে আমাকে আজও কোনো সহযোগিতা করা হয়নি। চাইলে দেবে বলে আশ্বাস দেয়া হয়েছে অনেকবার কিন্তু ফল পাইনি। তাই বাধ্য হয়ে আপনাদের কাছে আমার সন্তানের জন্য হাত পেতেছি।’
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্য (মেম্বার) নজরুল ইসলাম বলেন, ‘সকালে ঘটনাটি শোনার পর তাকে ডেকে বাচ্চার দুধ কেনার জন্য কিছু অর্থ দিয়েছি। পরবর্তীতে তাকে আরও সহযোগিতা করা হবে।
বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মীর আলিফ রেজাকে জানালে তিনি ওই ব্যক্তির মোবাইল নম্বর মেসেজ করে দিতে বলেন। তিনি বলেন, আমি তার সঙ্গে যোগাযোগ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

© All rights reserved  2020 Daily Surjodoy
Theme Customized BY CreativeNews