সোমেন সরকার
গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় ৭৬ কেজি ওজনের বোমা পেতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টার মামলায় ১৪ জনের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার (২৩ মার্চ) ২০ বছর পর ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান এ আদেশ দেন। ফায়ারিং স্কোয়াডে এ আদেশ কার্যকর হবে। বিধিতে সমস্যা থাকলে ফাঁসিতে ঝুঁলিয়ে কার্যকর করা হবে। সকাল ৯টায় কারাগার থেকে আসামিদের আদালতে হাজির করা হয়। এরপর সাড়ে ১২টায় রায় ঘোষণা করেন আদালত।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, মো. আজিজুল হক ওরফে শাহনেওয়াজ, মো. লোকমান, মো. ইউসুফ ওরফে মোছহাব মোড়ল, মোছহাব হাসান ওরফে রাশু, শেখ মো. এনামুল হক, মো. মফিজুর রহমান ওরফে মফিজ, মো. মাহমুদ আজহার ওরফে মামুনুর রশিদ, মো. রাশেদুজ্জামান ওরফে শিমুল, মো. তারেক, মো. ওয়াদুদ শেখ ওরফে গাজী খান, মো. আনিসুল ইসলাম ও সারোয়ার হোসেন মিয়া। আসামিদের মধ্যে আমিরুল ইসলাম ওরফে জেন্নাত মুন্সী ও রফিকুল ইসলাম খান জামিনে রয়েছেন।
এর আগে গত ১১ মার্চ বিচার প্রক্রিয়ার সর্বশেষ ধাপ যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ করেন রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের আইনজীবীরা। ওইদিনই রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেন আদালত। মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, ২০০০ সালের ২১ জুলাই গোপালগঞ্জের কোটালিপাড়ায় শেখ লুৎফর রহমান আদর্শ কলেজের মাঠে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সমাবেশস্থলের পাশ থেকে ৭৬ কেজি ওজনের একটি বোমা উদ্ধার করা হয়। পরদিন ওই স্থানেই শেখ হাসিনার বক্তব্য দেওয়ার কথা ছিল। এ ঘটনার পরে কোটালিপাড়া থানার উপপরিদর্শক নূর হোসেন বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে মামলা করেন।
২০০১ সালের ১৫ নভেম্বর তৎকালীন সিআইডির এএসপি আব্দুল কাহার মামলার অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০০৪ সালের ২১ নভেম্বর আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচারের জন্য আদেশ দেন। এরপর আদালত মোট ৫০ সাক্ষীর মধ্যে ৩৪ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন।