গত রোববার বাসন থানার পূর্ব চান্দনা এলাকায় এ হত্যাকাণ্ড ঘটে।
গত ৫ আগষ্ট নিহত রুবেলের স্ত্রী মোসা. শাফি বাদী হয়ে বাসন থানায় মো. আসিফ হায়দার আলমগীরকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
র্যাব-১, পোড়াবাড়ী ক্যাম্প কমান্ডার আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, শুক্রবার মিরপুর কালশী মোড় এলাকায় অভিযান চালিয়ে ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার জাকারিয়ার ছেলে মো. আসিফ হায়দার আলমগীরকে আটক করা হয়েছে।
আলমগীর পেশায় পিকআপচালক। গত আট মাস আগে নিহত রুবেল মিয়ার শ্যালিকার সঙ্গে তার মোবাইল ফোনে পরিচয় হয়। পরিচয়ের সূত্র ধরে এক পর্যায়ে তাদের দুইজনের মাঝে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
আলমগীর মাদক সেবনকারী ও খারাপ প্রকৃতির লোক বলে নিহত রুবেল শ্যালিকার সম্পর্ক মেনে নিতে পারেননি। তাই শ্যালিকার সঙ্গে আলমগীরকে কোনো ধরনের সম্পর্ক রাখতে নিষেধ করেন। এতে আলমগীর ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে এবং তাকে হত্যা করে তার প্রেমিকাকে তুলে নেয়ার হুমকি দেয়।
এরই ধারাবাহিকতায় গত ২ আগষ্ট রাতে আলমগীর গাজীপুরে আসেন। পরে রাজধানীর উত্তরায় জসিম উদ্দিন এলাকা থেকে একটি ধারালো ছুরি কিনে রাতেই গাজীপুরে রুবেলের বাসার সামনে ওত পেতে থাকেন।
রুবেল প্রতিদিনের ন্যায় তার ভাড়ায় চালিত অটোরিকশা গ্যারেজে জমা দিয়ে বাসায় ফেরার জন্য রওনা হয়। বাসায় ফেরার পথে রাত সোয়া ১০ টার দিকে আলমগীর তার পথ রোধ করে। এ সময় দুজনের মাঝে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে রুবেলের শরীরে ছুরিকাঘাত করে দ্রুত পালিয়ে যায় আলমগীর।
রুবেলকে উদ্ধার করে দ্রুত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে গত ৪ আগষ্ট সকালে সে মারা যায়।