বগুড়া জেলার গাবতলী উপজেলার ও শিবগঞ্জ উপজেলার সীমানার মাঝামাঝি অবস্থিত  A.C ইটভাটায় অন্যায় ভাবে পোড়ানো হচ্ছে কাঠ-খড়ি।

গত ১২ই মার্চ সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় ইটভাটায় কাঠ ও খড়ি। সাংবাদিকের উপস্থিতি টের পেয়ে দ্রুত একটি খড়ির ট্রাক সরালেও ভাটার চারপাশে থাকা খড়ি সরাতে পরেননি।

ইটভাটার দায়িত্বরত ম্যানেজারকে খড়ি পোড়ানোর প্রসঙ্গে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, “এটা বাংলাদেশ এখানে সব কিছু করা যায়” এবং তিনি আরও বলেন তাদের বগুড়া অফিসে দেখা করে মিষ্টি খাওয়ার জন্য। এর আগে অনেক সাংবাদিকই নাকি তাদের অফিসে গিয়ে মিষ্টি খেয়েছেন।

আইন ও সরকারি বিধি অমান্য করেই পরিবেশের বিপর্যয় ঘটাচ্ছে এই ভাটা। ইটভাটায় কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে কৃষি জমির উর্বর মাটি। জমির উর্বর মাটি উজাড়ের মাধ্যমে পরিবেশ ও আবাদী জমি ধ্বংসের প্রক্রিয়া চলমান থাকলেও প্রভাবশালী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে প্রশাসন ব্যবস্থা নিচ্ছে না বলে অভিযোগ রয়েছে।

এ সি (A C) ভাটার দায়িত্বপ্রাপ্ত ম্যানেজার ১২ই মার্চ বলেছিলেন “এটা বাংলাদেশ এখানে সবকিছু করা সম্ভব” আজ ১৪ ই মার্চ আবার গিয়ে দেখা যায় নতুন নতুন খড়ি দিয়ে ভাটার জ্বালানি কাজ অব্যাহত রয়েছে। গত ১২ তারিখে গণমাধ্যমে নিউজটি প্রকাশ হওয়ার পরও কিভাবে ভাটায় খড়ি পড়ানো হচ্ছে তা
ভাবিয়ে তুলেছে এলাকার মানুষকে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক ব্যক্তি বলেন, প্রভাবশালী ও ক্ষমতাশীন ব্যক্তিরা প্রশাসনকে ম্যানেজ করে অবৈধভাবে এসব ইটভাটা চালাচ্ছে। ইটভাটায় জ্বালানি হিসেবে কয়লা ব্যবহারের কথা থাকলেও এখানে তা অনুসরণ করা হচ্ছে না। তিনি দ্রুত এই ইটভাটা বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য পরিবেশ অধিদফতর ও জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।