কাইয়ুম মাহমুদ
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার সলঙ্গায় ফসলি জমি নষ্ট করে পুকুর খনন মাটি যাচ্ছে ইট ভাটায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা পরও বার বার ব্যর্থ হচ্ছে উপজেলা প্রশাসন।
গত শুক্রবার (১৫ জানুয়ারি) সকালে উল্লাপাড়া উপজেলার বাঙ্গালা ও রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের ৫টি এক্সকাভেটর মেশিনের ব্যাটারী জব্দ করে উল্লাপাড়া উপজেলা প্রশাসন।
এতে সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাহিদ হাসান খান, র্যাব-১২ নিয়ে অভিযান চালিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ৫টি এক্সকাভেটর গাড়ির ব্যাটারী জব্দ করলেও এর পরও থেমে নেই পুকুর খনন।অবৈধ ভাবে বিনা অনুমতিতে ফসিল জমি নষ্ট করে পুকুর খনন করছে। এমন অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করা হয়।
পরবর্তীতে আবার নিয়ম ভেঙ্গে অবৈধ ভাবে ফসিল জমি নষ্ট করে পুকুর খননের কাজ করেছেন সলঙ্গা থানার রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের ভেংরী তেল পাম্পের পূর্ব পাশে আবু মুসা ৪ বিঘা হবি মেম্বর, লিমন,জিল্লার, ছাএ দলের ঠান্ঢুর ৬ বিঘা ফসলি জমিতে সরকারি কোন নিওম না মেনেই করছে পুকুর খননের কাজ।
ফসলি জমি কেটে পুকুর করকরায় বিলুপ্তির পথে শত শতবিঘা ফসলি জমি এদিকে একজন দিনমজুর নিয়মিত গায়ে খেটে পারিশ্রমিক পাচ্ছেন মাত্র ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা তা দিয়ে কিনতে হচ্ছে অধিক দামের ধান এবং চাউল এভাবে ফসলি জমি কেটে পুকুর খনন চলতে থাকলে একজন শ্রমিকের পক্ষে কোনদিন পরিবার-পরিজন নিয়ে সচ্ছল ভাবে চলা সম্ভব নয় বরং নিঃস্ব হয়ে দ্বারে দ্বারে ঘুরতে হবে।
স্থানীয় সচেতন মহলের দাবি যদি পুকুর খনন বন্ধ হয় তাহলে ধান এবং চাউলের দাম কমতে শুরু করবে তাই একজন শ্রমিক তার পারিশ্রমিক দিয়ে সচ্ছল ভাবে চলতে পারবে, তাই অবৈধ ভাবে ফসলি জমিতে পুকুর খনন যেন না হয়, প্রশাশনের কাছে এমনটাই দাবি স্থানীয় সচেতন মহল।