শ্রী বিরেন চন্দ্র দাস,বিশেষ প্রতিনিধিঃ
রাজশাহীতে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেছেন,আমাদের বিজয়ের ৫০ বছর পূর্ণ হলো। স্বাধীন বাংলাদেশের মহান বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করা হচ্ছে। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের যে মূলনীতি, সাম্য, ন্যায়বিচার, মানবিক মর্যাদা এখনো পুরোপুরি অর্জিত হয়নি। তঁারা বলেন, সভ্য সমাজে গণতন্ত্র ও গণমাধ্যম একে অপরের পরিপূরক। একটিকে ছাড়া আরেকটি অচল-অর্থহীন। গণতন্ত্র না থাকলে যেমন স্বাধীন গণমাধ্যমের কথা ভাবা যায় না। আবার স্বাধীন গণমাধ্যমই হলো গণতন্ত্রের রক্ষাকবচ। কিন্তু বর্তমানে গণতন্ত্র ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা পুন:প্রতিষ্ঠার লড়াই আজো চলমান। সাংবাদিকদের মর্যাদা প্রতিষ্ঠা, নিরাপত্তা নিশ্চিত ও অধিকার আদায়ের সংগ্রামে সবাইকে ঐক্যবব্ধ হতে হবে।
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজশাহী মহানগর প্রেসক্লাব ও রাজশাহী রিপোর্টার্স ইউনিটির যৌথ উদ্যোগে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন।
রাজশাহী মহানগর প্রেসক্লাবের সভাপতি এসএম আব্দুল মুগনী নীরোর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক ছিলেন রাজশাহী আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক, নদী ও পরিবেশ বঁাচাও আন্দোলন বাংলাদেশ-এর সভাপতি অ্যাডভোকেট এনামুল হক। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবী বিভাগের প্রফেসর ড. ইফতিখারুল আলম মাসউদ।অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেনরাজশাহী মহানগর প্রেসক্লাবেরসাধারণ সম্পাদক মুহা: আব্দুল আউয়াল। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন গণফোরামের রাজশাহী মহানগর সাধারণ সম্পাদক মামুনুর রশিদ, রাজশাহী মহানগর প্রেসক্লাবের সিনিয়র সহসভাপতি মাসুদ রানা রাব্বানী, অর্থ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদপ্রমুখ। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন রাজশাহী রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক মঈন উদ্দিন।উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী রিপোর্টার্স ইউনিটির সাংগঠনিক সম্পাদক আবু হেনা মোস্তফা জামান,দফতর সম্পাদক ইফতেখার আলম প্রমুখ। রাজশাহী মহানগর প্রেসক্লাব ও রাজশাহী রিপোর্টার্স ইউনিটির সদস্যগণ ছাড়াও বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিগণ ও পেশাজীবী নেতৃবৃন্দএতে উপস্থিত ছিলেন।
আলোচনা সভার আগে দিবসটি উপলক্ষে রাজশাহী মহানগর প্রেসক্লাব ও রাজশাহী রিপোর্টার্স ইউনিটির যৌথ উদ্যোগে এক বর্ণাঢ্য র্যালি বের করা হয়। র্যালিটি নগরীর সোনাদিঘী মোড় থেকে শুরু হয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে রাজশাহী মহানগর প্রেসক্লাবের সামনে গিয়ে শেষ হয়।পরে অনুষ্ঠানে মহান মুক্তিযুদ্ধের সকল শহীদের রুহের মাগফিরাত, দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনায় মহান আল্লাহ কাছে দোয়া করা হয়।