
মিহিরুজ্জামান জেলা প্রতিনিধি সাতক্ষীরাঃ
সাতক্ষীরায় কর্তৃপক্ষের অবহেলা আর উদাসীনতায় সাতক্ষীরা সিটি কলেজের শহীদ মিনারটি যেন মোটর সাইকেলর গ্যারেজে পরিণত হয়েছে। শুধু ফেব্রুয়ারি মাস এলেই খোঁজ হয় শহীদ মিনারের। বাকি সময়টায় শহীদ মিনারের দিকে ফিরেও তাকায় না কলেজ কর্তৃপক্ষ। যে কারণে যার যখন যে ভাবে ইচ্ছে সে ভাবে ব্যবহার করেন মিনারটি। কিন্তু কোন কিছুতেই ভ্রুক্ষেপ নেই কলেজ প্রশাসনের।সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সাতক্ষীরা সিটি কলেজের শহীদ মিনার চত্ত্বরে অর্ধশতাধিক মোটরসাইকেল। সিটি কলেজটি ‘মোটর ড্রাইভিং লাইসেন্স’র পরীক্ষা কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহারিত হওয়ায় পরীক্ষা দিতে আসা চালকরা ইচ্ছে মতো মোটরসাইকেল রেখেছেন এখানে। মোটর সাইকেল রাখার সময় শতভাগ মোটরসাইকেল চালকই জুতা পায়ে শহীদ মিনারের উপর উঠে শহীদ মিনার তথা ভাষা শহীদদের মর্যাদাহানী করেছেন। কেউ কেউ আবার খাবার খেয়ে ময়লা আর খালি প্যাকেট ফেলেছেন শহীদ মিনার চত্ত্বরে। তবে এসব কিছু দেখেও যেন না দেখার ভান করে আছে কলেজ কর্তৃপক্ষ।শহীদ মিনারের উপর মোটরসাইকেল রাখা ইসমাইল হোসেন নামের এক চালকের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি এসে দেখি অনেকেই এখানে গাড়ি রেখেছেন তাই পার্কিং এরিয়া মনে করে আমিও রেখেছি।সাতক্ষীরা সিটি কলেজের শিক্ষার্থী ইমরান হুসাইনের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখন তো শুধু মোটরসাইকেল দেখছেন অন্য সময় ছাগল-কুকুর শহীদ মিনারের ওপর ঘুমায়, নোংরা করে তাতেও কেউ কিছু বলেনা।ভাষা শহীদদের স্মৃতি স্তম্ভের উপর জুতা পায়ে উঠে অসম্মান করে এভাবে শহীদ মিনারকে মোটরসাইকেল গ্যারেজ হিসেবে ব্যবহার করে।এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে সাতক্ষীরা সিটি কলেজের অধ্যক্ষ আবু সাইদ বলেন, আসলে আজকে আমি কলেজে ছিলাম না এজন্য ঘটনাটি জানিনা। তবে এধরণের ঘটনা ঘটতে পারে বিআরটিএ’র ড্রাইভিং লাইসেন্সের পরীক্ষার কারণে। আমি বিআরটিএ কে আমাদের কলেজ থেকে তাদের কার্যক্রম বন্ধ করার জন্য বলেছি ভবিষ্যতে আর এমনটি হবে না।তিনি আরও বলেন, আমাদের শহীদ মিনারটি কলেজ ক্যাম্পাসের বাইরে হওয়ায় একটু অসুবিধা হয়। তবে সে সমস্যাও থাকবে না। আমাদের সদর এমপি মহোদয় কলেজ ক্যাম্পাসের ভিতরে নতুন করে শহীদ মিনার নির্মাণের জন্য বরাদ্দ দিয়েছেন।বর্ষা মৌসুম গেলেই নতুন শহীদ মিনার নির্মাণের কাজ শুরু হবে।
এ জাতীয় আরো খবর..
Leave a Reply