আনোয়ার হোসেন আন্নু বিশেষ প্রতিনিধিঃ
সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরিদর্শন করে নিজের সন্তোষ প্রকাশ করেছেন স্বাস্থ্য মন্ত্রী জাহিদ মালেক। রোববার (৫ ডিসেম্বর) দুপুরে সাভারের বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব্ হেলথ ম্যানেজমেন্টের নির্মাধীন ভবন পরিদর্শন সহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বিভিন্ন কার্যক্রম পরিদর্শন করে নিজের সন্তোষ প্রকাশ করেন তিনি।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পৌঁছালে স্বাস্থ্য মন্ত্রীকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ সায়েমুল হুদা সহ অন্যান্যরা।
এসময় বেলুন উড়িয়ে বৃক্ষ রোপণ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্য মন্ত্রী। পরে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ইনডোর, আউটডোর সহ সকল কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে এর ভূয়সী প্রশংসা করেন তিনি। এসময় এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সকল পুরাতন আবাসনের নতুন নির্মাণ এর আশ্বাস প্রদান করেন স্বাস্থ্য মন্ত্রী জাহিদ মালেক।
এর আগে, সাভারের বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব্ হেলথ ম্যানেজমেন্টের নির্মাধীন ভবন পরিদর্শন করেন জাহিদ মালেক। পরিদর্শন শেষে গণমাধ্যমকে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, আমাদের এই মহুর্তে বর্ডার বন্ধ করার কোন পরিকল্পনা নেই। আমরা টেস্টের ব্যবস্থা, পরীক্ষার ব্যবস্থা, কোয়ারান্টাইনের ব্যবস্থা জোরদার করেছি। আমাদের দেশ ভাল আছে, নিরাপদে আছে। আপনারা জানেন, আমরা দুই থেকে তিনজন করে মৃত্যুর খবর পাই। এই অবস্থা থাকলে বাংলাদেশে মৃত্যুর হার শূণ্যে নেমে আসবে। আমরা যদি সচেতন থাকি, আক্রান্তরা যদি দ্রুত চিকিৎসা নেয় তাহলে মৃত্যুর হার শুণ্যে নেমে আসবে। টিকা নেওয়া থাকলে তার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে, নিরাপদে থাকবে। যদি আক্রান্তও হয় ভাল চিকিৎসা নিলে ভাল হয়ে যাবে। আমাদের চিকিৎসা ব্যবস্থাও এখন অনেক উন্নত।
এসময় তিনি বলেন, আমি অনুরোধ করি যারা বিদেশে আছেন তারা এই মহুর্তে দেশে না আসলে ভাল হয়। তারা যেন সক্রমিত হয়ে দেশে না আসেন। যারা বিদেশ থেকে আসবেন তাদেরও দায়িত্ব রয়েছে। প্রবাসীদের পরিবারকে নিরাপদে রাখতে হবে, দেশকেও সুরক্ষিত রাখতে হবে। কাজেই আপনারা যেখানে আছেন সেখানেই নিরাপদে থাকুন।
তিনি আরও বলেন, ৬০ বছরের ওপরে যারা আছেন তাদের বুস্টার ডোজ দেওয়া হবে। এব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী অনুমোদন দিয়েছেন। আপনারা জানেন ইতিমধ্যে অনেক দেশেই বুস্টার ডোজ দেওয়া শুরু করেছেন। ভারতসহ পার্শ্ববর্তী কয়েকটি দেশেও বুস্টার ডোজের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। আমাদের টিকার কোন অভাব নেই আমরা বুস্টার ডোজও দিতে পারবো ইনশাআল্লাহ।
জাহিদ মালেক বলেন, জেলা সফরে আমরা বিভিন্ন কার্যালয়ে চিঠি দিয়েছি, তারা যেন করোনা মোকাবেলায় প্রস্তুতি গ্রহণ করেন। বাহির থেকে কেউ যদি আসে তাহলে তাদের কোয়ারেন্টাইনের ব্যবস্থা করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আমরা প্রস্তুত রয়েছি।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, জনবল বৃদ্ধি করার জন্য ইতিমধ্যে ৮ হাজার নার্স নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। টিকা কর্মসূচি আরো বেগবান করা হয়েছে। আমরা প্রথম ডোজ ৭ কোটি দিয়েছি। দ্বিতীয় ডোজ ইতিমধ্যে ৪ কোটি দেওয়া হয়েছে। আজ টিকা প্রদান করা হলে ১১ কোটি ডোজ প্রদান করা হবে। এটাও একটা গণ প্রস্তুতি। কারন ওমিক্রনকে যদি প্রতিরোধ করতে হয় তাহলে টিকা নিতে হবে।