নিজস্ব প্রতিবেদক:
ঐতিহ্যবাহী বাণিজ্য সংগঠন বাংলাদেশ জুয়েলারি সমিতির (বাজুস) সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন সায়েম সোবহান আনভীর। তিনি দেশের ইতিহাসে প্রথম বেসরকারিখাতে গোল্ড রিফাইনারি স্থাপনের উদ্যোক্তা এবং সর্ববৃহৎ শিল্প পরিবার বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। বসুন্ধরা গোল্ড রিফাইনারি লিমিটেড ও আরিশা জুয়েলার্স লিমিটেডের এই ব্যবস্থাপনা পরিচালক স্বপ্ন দেখছেন বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশে উৎপাদিত সোনার গহনা অচিরেই বিশ্ববাজারে রপ্তানি হবে। দেশের খ্যাতনামা উদ্যোমী শিল্পদ্যোক্তা সায়েম সোবহান আনভীর তার নেতৃত্বাধীন পুরো প্যানেলকে নির্বাচিত করায় সারা দেশের জুয়েলারি ব্যবসায়ীদের প্রতি কৃতজ্ঞা প্রকাশ করেছেন। এই নির্বাচনে ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ড লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক দিলীপ কুমার আগরওয়ালা সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন। সোমবার (২৯ নভেম্বর) বিকাল ৫টায় রাজধানীর বায়তুল মোকাররম মার্কেটে বাজুস কার্যালয়ে সংগঠনটির ৩৫ সদস্য বিশিষ্ট কার্যনির্বাহী কমিটির ২০২১- ২০২৩ মেয়াদে নির্বাচনের চূড়ান্ত ফল ঘোষণা করা হয়। বাজুস নির্বাচন বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন রিহ্যাব সভাপতি ও ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই পরিচালক আলমগীর শামসুল আলামিন কাজল। নির্বাচন বোর্ডের সদস্য ছিলেন এফবিসিসিআইর আরেক পরিচালক মো. ইকবাল হোসেন চৌধুরী ও ঢাকা চেম্বারের পরিচালক হোসেন এ শিকদার। তাদের স্বাক্ষরিত নির্বাচনের চূড়ান্ত লিখিত ফল সংগঠনটির নোটিশ বোর্ডে সোমবার প্রকাশ করা হয়। বাজুস নির্বাচনে আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এফবিসিসিআইয়ের সহসভাপতি আমিন হেলালী। আপিল বোর্ডের দুই সদস্য ছিলেন এফবিসিসিআইয়ের দুই পরিচালক ড. কাজী এরতেজা হাসান ও এম. জি. আর. নাসির মজুমদার। নির্বাচনের চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণাকালে নির্বাচন বোর্ডের চেয়ারম্যান আলমগীর শামসুল আলামিন কাজল বলেন, বাজুস অফিসের সবার সহযোগিতায় আমরা ২০২১-২৩ মেয়াদের নির্বাচন সম্পন্ন করতে পেরেছি। আমি ২০২১-২৩ মেয়াদে নির্বাচনের ফল আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করছি। আশা করছি, নতুন কমিটি দেশের জুয়েলারি জগতে যেসব সমস্যা আছে, সেসব সমস্যা সমাধান করতে পারবে। এই নবনির্বাচিত কমিটি জুয়েলারি নীতি প্রণয়ন করবে, যা হবে ব্যবসাবান্ধব, ব্যবসাকে অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবে। বাজুসের বিদায়ী সভাপতি এনামুল হক খান দোলন বলেন, আজকে আমাদের অত্যন্ত আনন্দের দিন। আমরা জুয়েলারি সমিতির নতুন কমিটি পেয়েছি, যার নেতৃত্বে আছেন দেশের শীর্ষ শিল্পদ্যোক্তা পরিবার বসুন্ধরা গ্রুপের এমডি সায়েম সোবহান আনভীর। এই নতুন কমিটি আমাদের জুয়েলারি খাতকে অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যাবে বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস। বাজুসের পুনঃনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক দিলীপ কুমার আগরওয়ালা বলেন, আমরা তখনই রপ্তানিতে যেতে পারবো যখন দেশে জুয়েলারির কাঁচামাল সহজলভ্য হবে। আমরা আশা করি ২০২২ সালের মধ্যে দেশে আমাদের কাঁচামাল সহজ লভ্য হবে। ইতোমধ্যে বসুন্ধরা গ্রুপ রিফাইনারি স্থাপন শেষ করেছে, যেটা আমাদের বিগত ৫০ বছরের দাবি ছিল। বাইরে থেকে কাঁচামাল আনতে এখনও অনেক জটিলতা রয়েছে। কাঁচামাল সহজলভ্য হলে রপ্তানি আমাদের জন্য সহজ হবে। এটি সম্ভাবনাময় একটি খাত। বাংলাদেশ জুয়েলারি সমিতি-বাজুস নির্বাচন বোর্ডের তথ্যনুযায়ী, সংগঠনটির ২০২১- ২০২৩ মেয়াদে নবনির্বাচিত সভাপতি বসুন্ধরা গোল্ড রিফাইনারি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীরের সঙ্গে নির্বাচিত ৭ জন সহ-সভাপতি হলেন (ক্রমানুসারে)—মেসার্স দি আপন জুয়েলার্সের কর্ণধার গুলজার আহমেদ, নিউ জেনারেল জুয়েলার্স লিমিটেডের আনোয়ার হোসেন, অলংকার নিকেতন (প্রা:) লিমিটেডের এম. এ. হান্নান আজদ, জড়োয়া হাউজ (প্রা:) লিমিটেডের বাদল চন্দ্র রায়, সিরাজ জুয়েলার্সের ডা. দেওয়ান আমিনুল ইসলাম শাহীন, এল. রহমান জুয়েলার্সের মো. আনিসুর রহমান দুলাল এবং দি আমিন জুয়েলার্সের কাজী নাজনীন ইসলাম নিপা। বাংলাদেশ জুয়েলারি সমিতির নবনির্বাচিত কার্যনির্বাহী কমিটিতে টানা চতুর্থবারের মতো সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ড লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও এফবিসিসিআই পরিচালক এবং সংগঠনটির সাবেক সহসভাপতি দিলীপ কুমার আগরওয়ালা। এই কমিটিতে নির্বাচিত ৯ জন সহ-সম্পাদক হলেন (ক্রমানুসারে)—গোল্ড ওয়ার্ল্ডের কর্ণধার মাসুদুর রহমান, ফেন্সী ডায়মন্ডের সমিত ঘোষ অপু, ভেনাস ডায়মন্ড কালেকশনের বিধান মালাকার, মেসার্স রিজভী জুয়েলার্সের মো. জয়নাল আবেদীন খোকন, নিউ সোনারতরী জুয়েলার্সের মো. লিটন হাওলাদার, মেসার্স বৈশাখী জুয়েলার্সের নারায়ণ চন্দ্র দে, মনি মালা জুয়েলার্সের মো. তাজুল ইসলাম লাভলু, গোল্ড কিং জুয়েলার্সের এনামুল হক ভুঞা লিটন এবং পূরবী জুয়েলার্স (প্রা:) লিমিটেডের মুক্তা ঘোষ। বাংলাদেশ জুয়েলারি সমিতির নবনির্বাচিত কমিটিতে কোষাধ্যক্ষ হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন মেসার্স কুন্দন জুয়েলারি হাউজ ও জায়া গোল্ডের কর্ণধার উত্তম বণিক। একইসঙ্গে নবনির্বাচিত কমিটিতে ১৬ জন সদস্য হলেন—ক্রমানুসারে গ্রামীণ ডায়মন্ড হাউজের কর্ণধার ও বাজুসের সাবেক সভাপতি ডা. দিলীপ কুমার রায়, শারমিন জুয়েলার্স ও ডায়মন্ড অ্যান্ড ডিভাসের কর্ণধার এবং বাজুসের বিদায়ী সভাপতি এনামুল হক খান দোলন, সুলতানা জুয়েলার্স (প্রা:) লিমিটেডের মোহাম্মদ বাবুল মিয়া, দি ডায়মন্ড সী’র মো. ইমরান চৌধুরী, পি.সি. চন্দ্র জুয়েলার্সের পবিত্র চন্দ্র ঘোষ, জুয়েলারি হাউজের মো. রিপনুল হাসান, রহমান জুয়েলার্সের আলহাজ্ব মো. মজিবুর রহমান খান, মেসার্স লিলি জুয়েলার্সের বাবলু দত্ত, রজনীগন্ধা জুয়েলার্স লিমিটেডের মো. শহিদুল ইসলাম (এম.ডি.), দি পার্ল ওয়েসিস জুয়েলার্সের জয়দেব সাহা, মেসার্স সাজনী জুয়েলার্সের ইকবাল উদ্দিন, শতরূপা জুয়েলার্সের কার্তিক কর্মকার, আফতাব জুয়েলার্সের উত্তম ঘোষ, শৈলী জুয়েলার্সের মো. ফেরদৌস আলম শাহীন, জারা গোল্ডের কাজী নাজনীন হোসেন জারা এবং রয়েল মালাবার জুয়েলার্স (বিডি) লিমিটেডের মো. আসলাম খান।