সোহেল, সিরাজগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি:
সিরাজগঞ্জ জেলার এনায়েতপুর বেড়িবাঁধের পাশেই অবস্থিত খাজা ইউনুছ আলী মেডিক্যাল কলেজ এন্ড হসপিটাল, খাজা ইউনুছ আলী বিশ্ববিদ্যালয় ও খাজা ইউনুছ আলী ল্যাবরেটরি স্কুল এন্ড কলেজ। সেই কারণে বেড়িবাঁধের চার পাশের দৃশ্য আরও মনোমুগ্ধকর হয়ে উঠেছে। বেড়িবাঁধের পার ঘেসে যাওয়া যমুনা নদী যেনো পরিণত হয়েছে সমুদ্র শৈকতে।
মহামারীতে রূপ নেওয়া করোনা ভাইরাসের তোয়াক্কা করছেনা বিনোদন প্রেমীরা। ঈদের দিন থেকে শুক্রবার (৭ আগস্ট ২০২০ ইং) পর্যন্ত দেখা যায় বেড়িবাঁধে ঘুরতে আসা মানুষের উপচে পড়া ভিড়। সেখানে কোন রকম সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্য বিধির তোয়াককা না করে ঈদ আনন্দে মেতে উঠেছেন নানা বয়সের দর্শনার্থী।
ঋবৈচিত্রের দেশ আমাদের বাংলাদেশ আর বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে কার না ভালো লাগে। শত ব্যস্ততার মাঝেও একটু প্রশান্তি পেতে ও মনোমুগ্ধকর প্রাকৃতিক দৃশ্য উপভোগ করতে পরিবার পরিজনদের নিয়ে বেড়িয়ে পড়ছেন বিভিন্ন এলাকার বিভিন্ন পেশাজীবীর মানুষ।প্রতিদিন বিভিন্ন এলাকা থেকে করোনা ভাইরাসের কারণে ঘরে বন্ধি থাকা হাফিয়ে উঠা মানুষ গুলো ঘুরতে আসছেন এই বেড়িবাঁধে। এরই মধ্যে ঈদুল আযহা আসায় বেপরোয়া হয়ে পড়ছে বিভিন্ন পেশজীবির মানুষ। এনায়েতপুর থানায় উল্লেখযোগ্য কোনো বিনোদন কেন্দ্র না থাকার দরুন মুখরিত হয়ে উঠেছে এনায়েতপুরের বেড়িবাঁধ।
প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও মনোমুগ্ধকর পরিবেশ থাকলেও সেখানে নেই প্রশাসনের কঠিন নজরদারী, নেই কোনো সু ব্যাবস্থা, নেই কোনো স্বাস্থ্য বিধির নিয়ম কানুন, নেই সামাজিক দূরত্ব তবুও আনন্দের কমতি নেই বিনোদন প্রেমীদের মাঝে।
স্থানীয়দর অভিযোগ ঈদ উপলক্ষে বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ এই বেড়িবাঁধে আসছে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে তবে কেউই মানছেনা স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব। এছাড়াও স্থানীয়দের মাঝে আতঙ্ক হয়ে দাড়িয়েছে বেপোরওয়া গতিতে যুবকদের মোটর বাইক চালানো। এতে স্থানীয়দের মাঝে বিরাজ করছে দুর্ঘটনার আতঙ্ক। এ বিষয়ে ব্যাবস্থা নিতে প্রশাসন কর্তপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন এলাকাবাসী।