সিরাজগঞ্জ শহীদ এম.মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পিডি ও উপ-পরিচালক ডা: কৃষ্ণ কুমার পাল অবশেষে সাময়িক বরখাস্ত হয়েছেন। বিধি-বর্হিভুতভাবে ডাক্তারী যন্ত্রপাতি ও আসবাবপত্র কেনাকাটায় অর্থ লোপাটের দায়ে স্বাস্থ্য
ও পরিবার কল্যান মন্ত্রনালয় ও সিজিএর তদন্তের পর তার বিরুদ্ধে এমন ব্যবস্থা নেয়া হলো। মহামান্য রাস্ট্রপতির নির্দেশে স্বাস্থ্যমন্ত্রনালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন স্বাক্ষরিত পত্রে সরকারি চাকরী আইন-২০১৮-এর ৩৯(১) ধারা অনুযায়ী শাস্তিমুলক ব্যবস্থা নেয়া হলো।
সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা-আপিল) বিধিমালা-২০১৮ অনুসারে ডা: কৃষ্ণের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলাও রজু করা হয়েছে। মামলা ও সাময়িক বরখাস্তের আদেশ
স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয় ওয়েবসাইটে গত ৭ ডিসেম্বর সংযুক্ত হয়েছে। সিরাজগঞ্জ শহীদ এম.মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সদ্য অবসরপ্রাপ্ত পরিচালক ডাঃ
সায়ফুল ফেরদৌস মোঃ কামাল আতাতুক পিডি কৃষ্ণ কুমার পালের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা ও সাময়িক বরখাস্তের আদেশের বিষয়টি বৃহস্পতিবার সন্ধা সাতটায় নিশ্চিত করেছেন।
মন্ত্রনালয়ের ওয়েবসাইটের আদেশ সূত্রে জানা যায়, সরকারি পাবলিক প্রকিউরমেন্ট বিধিমালা-২০০৬ ও ২০০৮ লঙ্ঘন করে পিডি ডা: পাল ও বেঙ্গল
সায়েন্টিফিক কোম্পানীর ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাহের উদ্দিন যোগসাজসে বিধিবর্হিভুতভাবে হংকং থেকে ডাক্তারী যন্ত্রপাতি কেনাকাটা করেছেন। এজন্য
তারা প্রায় একশ সাড়ে ৬৩ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেন। দুদক পাবনা আঞ্চলিক কার্যালয়ে ২০২০ সালের ৯ আগষ্ট ওই ঘটনায় মামলা করে। এছাড়া,
স্বাস্থ্যমন্ত্রনালয়ের সমন্বিত বাজেট ও হিসেব ব্যবস্থাপনা (আইবাস) থেকে সিরাজগঞ্জের ওই প্রতিষ্ঠানের নামে ২৪ কোটি ৯৪ লাখ ২২ হাজার টাকা লোপাট
করে ঢাকার এম.জাহান ট্রেডার্স ও গ্রীন ট্রেড। ২০২২’র জুনে পাচারকৃত অর্থের বিষয়ে ২৩ অক্টোবর ঠগবাজি দু’প্রতিষ্টানের নামে মামলা করে দুদক।
অথচ সিরাজগঞ্জের প্রতিষ্ঠানের ম্যাগনেটিক রেজোন্যান্স ইমেজিং (এমএর আই) মেশিন ক্রয়ে ঠগবাজি দু’প্রতিষ্ঠানকে আগাম ১৬ কোটি ৪০ লাখ টাকা পরিশোধ করেন পিডি। নব্বই দিনের মধ্যে মেশিন সরবরাহ করার কথা থাকলেও গত দেড় বছরেও পৌঁছেনি। সিরাজগঞ্জ হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কমিটি বার বার তাগিদ দিলেও কর্ণপাত করেননি পিডি। পিডির বিরুদ্ধে আড়াই কোটি টাকার আর্থিক আরো গড়মিল পায় সিজিও-স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয় অডিট দল। একারনে বিভাগীয় মামলাসহ পিডিকে সাময়িক বরাখাস্ত করা হয়েছে বলেও উল্লেখ রয়েছে।